Bankura: গলন্ত লোহায় ঝলসেছিল শরীরের ৯০ শতাংশ, মৃত্যু স্পঞ্জ আয়রন কারখানার ২ শ্রমিকের, বাকিরাও আশঙ্কাজনক

Bankura: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়জোড়া শিল্প তালুকের ঘুটগড়িয়া এলাকার বিডি গোয়েল নামের একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। আচমকাই তরল অবস্থায় থাকা ফুটন্ত লোহা ছিটকে পড়ে চতুর্দিকে।

Bankura: গলন্ত লোহায় ঝলসেছিল শরীরের ৯০ শতাংশ, মৃত্যু স্পঞ্জ আয়রন কারখানার ২ শ্রমিকের, বাকিরাও আশঙ্কাজনক
ঝলসে গিয়ে মৃত্যু ২ শ্রমিকের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2023 | 1:10 PM

বাঁকুড়া: বড়জোড়ায় বেসরকারি কারখানায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। দুর্গাপুরের বিবেকানন্দ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসাধীন মহম্মদ আজিম ও রমেশ কুমার নামে ওই দুই শ্রমিকের। বাকি ৬ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। তাঁদেরও শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও কারখানার তরফ থেকে কোনও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়নি। ক্ষোভে ফুঁসছেন কারখানার বাকি কর্মীরা। মঙ্গলবার বড়জোড়ায় কারখানায় ল্যাডার ছিঁড়ে গলন্ত লোহা পড়ে আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন। দুর্গাপুরের বিবেকানন্দ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আহতরা। ৮ জন শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে বাঁকুড়ার বড়জোড়া শিল্প তালুকের একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানার ঘটনাটি ঘটে। আহতদের প্রথমে বড়জোড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১৪ জনকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়জোড়া শিল্প তালুকের ঘুটগড়িয়া এলাকার বিডি গোয়েল নামের একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। আচমকাই তরল অবস্থায় থাকা ফুটন্ত লোহা ছিটকে পড়ে চতুর্দিকে। ঝলসে যায় কর্মরত একাধিক শ্রমিকের শরীর। শুরু হয় হাহাকার। সমস্ত মেশিন বন্ধ করে দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বাকি শ্রমিক। সাহায্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এক-একজনের ৫০-৯৫ শতাংশ ঝলসে গিয়েছে শরীর। ঘটনার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তার গাফিলাতিকেই দায়ী করেছে শ্রমিক সংগঠনগুলি।

ঘটনায় কারখানার ম্যানেজার বলেছেন, “কাউকে সেই অর্থে দোষী বলা যাবে না। ক্রেনের তার হঠাৎ ছিঁড়ে গেল, এটায় সে অর্থে কাউকে দায় দেওয়া যাবে না। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।” বিবেকানন্দ হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক দুর্গাদাস রাস বলেন, “১৪ জন এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা প্রথম থেকেই ভীষণ খারাপ ছিল। চেষ্টা চলছে। চিকিৎসায় কীভাবে সাড়া দেবেন, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। প্রত্যেকেই থার্মাল বার্ন ইনজুয়েরি রয়েছে।”