
ছাতনা: হাতে সময় খুবই কম। কিন্তু কাজের অগ্রগতি নিয়ে দেখা দিয়েছে সিঁদুরে মেঘ। শেষ পর্যন্ত এবার এসআইআর-এর ফর্ম পূরণে মাঠে নেমে পড়লেন খোদ বিডিও। নিজেই করে দিলেন ভোটারদের ফর্ম ফিলাপ। এই ছবিই দেখা গেল বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের বাগডিহা গ্রামে। গ্রামেই প্রায় সব মানুষই আদিবাসী। আশপাশের আর পাঁচটা গ্রামের মতো এখানেও ঘুরে ঘুরে এসআইআরের ফর্ম দিয়েছেন বিএলও। কিন্তু এখানে গ্রামে সেইভাবে জ্বলেনি শিক্ষার আলো। একইসঙ্গে রয়েছে সচেতনতার অভাব। ফলে বাসিন্দারা ঠিকমতো বুঝতেই পারনেনি সময় মতো এসআইআর পূরণ করে দেওয়ার কাজ ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ফলে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও-র কাছে পর্যাপ্ত এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ছিল না।
এরইমধ্যে বিষয়টি ছাতনা ব্লক প্রশাসনের নজরে আসে। তারপরই নড়েচড়ে বসেন ছাতনার বিডিও সৌরভ ধল্ল। এবার তিনি নিজেই নেমে পড়লেন মাঠে। গ্রামে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে নিজেই কথা বলেন। ফর্ম অপূর্ণ থেকে যাওয়ার পিছনে যে শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবই মূল কারণ তাও বুঝে যান সহজেই। ঠিক করে ফেলেন পরবর্তী পরিকল্পনা।
নিজেই শুরু করে দেন ফর্ম ফিলাপের কাজ। যাঁদের ছবি নেই তাঁদের ছবি তোলারও ব্যবস্থা করেন। এসআইআর আবহে এনুমারেশন ফর্ম ফিলাপের ক্ষেত্রে এভাবে খোদ বিডিও এগিয়ে আসায় খুশি গ্রামের বাসিন্দারা। এবার পালা জমা দেওয়ার। তবে শুধু বাগডিহা গ্রামেই নয়, আশপাশের যে সমস্ত এলাকায় এসআইআর-এর কাজ আশাব্যঞ্জকভাবে এগোচ্ছে না সেদিকেও নজর দিচ্ছেন বিডিও। দ্রুত সেই সমস্ত এলাকাকে চিহ্নিত করে একইভাবে কাজ করবেন বলে জানাচ্ছেন তিনি। এদিকে নির্বাচন কমিশন আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে আবার পুরো ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। সে কারণেই প্রশাসনিক মহল তৎপরতা এক্কেবারে তুঙ্গে।