TMC: পদ থেকে সরিয়েছিলেন যিনি, তাঁকে সরিয়ে আবারও পদে ফিরলেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি

Bankura: বাঁকুড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেই কোন্দল এড়াতে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লককে দু'টি সাংগঠনিক ভাগে ভাগ করে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। গঙ্গাজলঘাঁটি-২ সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি হন নিমাই মাজি। সেই সময় নিমাই মাজি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তৎকালীন ব্লক সভাপতি জিতেন গড়াইকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করেন।

TMC: পদ থেকে সরিয়েছিলেন যিনি, তাঁকে সরিয়ে আবারও পদে ফিরলেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি
বাঁদিকে পুরনো ব্লক সভাপতি নিমাই মাজি, ডানদিকে জিতেন গড়াই। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2024 | 8:53 PM

বাঁকুড়া: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সরানো হয়েছিল পদ থেকে। সংগঠনের রদবদলে আবারও পদ ফিরে পেলেন সেই শাসকনেতা। সম্প্রতি তৃণমূলের নতুন ব্লক সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি-২ ব্লকেও এসেছে বদল। কিন্তু এ বদল নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনীতিতে স্থায়ী বলে কিছুই হয় না ঠিকই। কিন্তু তা বলে কয়েক মাস আগেই পদ খোয়ানো নেতা পদে ফিরে এসেছেন দেখে দলের অন্দরেও জোর চর্চা। দলের ব্লক সভাপতি যে নেতাকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে পদ থেকে সরান, এবার সেই ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে পদ খোয়ানো নেতা হলেন ব্লক সভাপতি। বিজেপির অবশ্য দাবি, তৃণমূল যে কতটা নীতিহীন, এসব ঘটনা তা বুঝিয়ে দিচ্ছে। অস্বস্তি এড়াতে বিষয়টিকে রাজ্যের সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।

বাঁকুড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সেই কোন্দল এড়াতে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লককে দু’টি সাংগঠনিক ভাগে ভাগ করে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। গঙ্গাজলঘাঁটি-২ সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি হন নিমাই মাজি। সেই সময় নিমাই মাজি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তৎকালীন ব্লক সভাপতি জিতেন গড়াইকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করেন।

এবার সেই নিমাই মাজিকে সরিয়েই পদে জিতেন গড়াই। নিমাই মাজিকে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ঠিকই। তবে দলের লোকজনই বলছেন, উঁচু পদ হলেও ধারেভারে ব্লক সভাপতির ধারেকাছে না। নিমাই বলছেন, দল মনে করেছে, তাই করেছে। জিতেন গড়াইয়ের বক্তব্য, “আমাকে যখন সরানো হল অনেক সাংবাদিক বন্ধু আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন সেদিনও কিছু বলিনি। আজও মন্তব্য করব না। কঠিন লড়াইটা আমি করব এটুকুই জানি।”

তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী পুরনো বিতর্ক সুকৌশলে এড়িয়ে বলেন, “পুরনো গল্প আমি জানি না। পদোন্নতি করে ওকে জেলায় নেওয়া হয়েছে। ৪ জন নতুন ব্লক সভাপতি হয়েছেন।” তবে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিজেপি। বিজেপি নেতা সুজিত অগস্তির কথায়, “একটা অগণতান্ত্রিক দল। কী আছে ওদের? জোর করে ভোটে জেতে।”