Bankura News: বারেবারে পাকা সেতু চেয়েছিলেন কিন্তু…,ছেলের ওষুধ আনতে গিয়ে বাঁশের সেতু থেকে নিচে পড়ে নদীতে তলিয়ে গেলেন বাবা
Bankura: বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার ভগবতীপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে শালী নদী। সারা বছর সেই নদীর গর্ভ শুকনো থাকলেও বর্ষায় সেই নদীই হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর। নদীর দুকূল ছাপিয়ে বেগে বইতে থাকে জল। ভগবতীপুর গ্রাম থেকে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার উপরেই এই শালী নদী থাকায় নদী পারাপারের জন্য গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি একটি পাকা সেতু।

বাঁকুড়া: গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তায় পড়ে শালী নদী। সেই নদীর উপর পাকা সেতু তৈরির জন্য বারেবারে আবেদন নিবেদন করেছেন গ্রামের মানুষ। অভিযোগ, কিন্তু পাকা সেতু না হওয়ায় গ্রামের মানুষের হাতে তৈরি নড়বড়ে বিপজ্জনক বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলে পারাপার। এবার সেই সাঁকোতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক গ্রামবাসীর। অসুস্থ ছেলের জন্য ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে উঁচু বাঁশের সাঁকো থেকে নদীগর্ভে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল স্থানীয় এক ব্যক্তির। ঘটনা বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার ভগবতীপুর এলাকায়।
বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার ভগবতীপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে শালী নদী। সারা বছর সেই নদীর গর্ভ শুকনো থাকলেও বর্ষায় সেই নদীই হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর। নদীর দুকূল ছাপিয়ে বেগে বইতে থাকে জল। ভগবতীপুর গ্রাম থেকে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার উপরেই এই শালী নদী থাকায় নদী পারাপারের জন্য গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি একটি পাকা সেতু। হাজার আবেদন নিবেদনের পরে শালী নদীর ওই এলাকায় মাটি পরীক্ষার কাজ হয়। কিন্তু ব্যাস সেটুকুই। আজো পাকা সেতু নির্মাণের কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। অগত্যা গ্রামের মানুষ বছরভর গভীর নদীখাত পারাপারের জন্য অস্থায়ী নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো তৈরী করেন।
এবার সেই সাঁকোতেই ঘটে গেল ভয়াবহ দূর্ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবতীপুর গ্রামের বছর ৩৪ বয়সী বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ গতকাল রাতে নিজের অসুস্থ শিশু সন্তানের জন্য বাইক নিয়ে সাঁকো পেরিয়ে ওষুধ আনতে রসুলপুর বাজারে যান। সেখান থেকে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নড়বড়ে সাঁকো থেকে কোনওভাবে বাইক সহ নদীগর্ভে পড়ে যান সঞ্জয়। পরে নদীগর্ভে থাকা বালির মধ্যে সঞ্জয়কে ঘাড় গুঁজে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনার খবর জানার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা নদী গর্ভে ছুটে এসে দেখেন ঘটনাস্থলেই সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ইন্দাস থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় একদিকে যেমন এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে, তেমনই ফের একবার শালী নদীর উপর পাকা সেতু তৈরির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষ। স্থানীয়দের দাবি প্রশাসন পাকা সেতু তৈরিতে উদ্যোগী হলে এমন দুর্ঘটনা ঘটত না।
