Bankura: স্ত্রীকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে গলায় দড়ি স্বামীর, প্রতিবেশীরা বলছেন…
Husband killed wife: মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় বেশ কিছুদিন ধরে অলোকের চিকিৎসা চলছিল। অন্যান্য দিনের মতো গতকাল রাতে ওই দম্পতি নিজেদের ঘরেই ছিলেন। এদিন সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত প্রতিবেশীরা দেখেন, অলোক মণ্ডলের বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। আর তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। পরে সন্দেহের বশে ঘরের দরজা ভাঙেন।

বাঁকুড়া: অনেক ডাকাডাকির পরও সকালে দরজা খোলেননি দম্পতি। শেষে দরজা ভেঙে চমকে উঠলেন পরিজন ও প্রতিবেশীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন স্ত্রী। আর গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন স্বামী। প্রতিবেশীরা মনে করছেন, ধারালো বঁটির আঘাতে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার আশুরালি গ্রামে। শনিবার সকালে ঘটনাটি নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম অলোক মণ্ডল ও মুক্তা মণ্ডল। জয়পুর থানার পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর আশুরালি গ্রামে নিজেদের অ্যাসবেস্টস দেওয়া চালার বাড়িতে বসবাস করতেন পেশায় কৃষিজীবী অলোক ও তাঁর স্ত্রী মুক্তা। মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় বেশ কিছুদিন ধরে অলোকের চিকিৎসা চলছিল। অন্যান্য দিনের মতো গতকাল রাতে ওই দম্পতি নিজেদের ঘরেই ছিলেন। এদিন সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত প্রতিবেশীরা দেখেন, অলোক মণ্ডলের বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। আর তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। পরে সন্দেহের বশে ঘরের দরজা ভাঙেন। ভেতরে ঢুকে প্রতিবেশীরা দেখেন, ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন স্ত্রী মুক্তা মণ্ডল। মৃতদেহের অদূরেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ঘরের শাক সবজি কাটার বঁটি। মৃতদেহের কপালে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রতিবেশীরা বুঝতে পারেন, মুক্তাকে খুন করা হয়েছে। এরপরই অলোক মণ্ডলের খোঁজ শুরু করেন প্রতিবেশীরা। পরে তাঁরা দেখেন ঘরের চিলেকোঠায় যাওয়ার সিঁড়ির কাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় অলোকের দেহ ঝুলছে। তড়িঘড়ি প্রতিবেশীরা জয়পুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ দুটি উদ্ধার করে।
প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের ধারণা, স্বামীকে কাজ করা নিয়ে খোঁটা দিয়েছিলেন স্ত্রী। আর সেই রাগেই মানসিকভাবে অসুস্থ অলোক বঁটি দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে ফেলেন। পরে সম্বিৎ ফিরলে অনুশোচনার কারণে আত্মঘাতী হন স্বামী। পুলিশ ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দম্পতির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
