‘গর্ভবতী নার্স শুয়েছিল, ছবি তুলে ভাইরাল করে দিয়েছে!’ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কেলেঙ্কারির অভিযোগ
Bankura: নার্সদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, ঘুমন্ত অবস্থায় ছবি তুলে ভাইরাল করা এবং স্বাস্থ্যসাথী দুর্নীতি এখানে লেগেই রয়েছে।
বাঁকুড়া: নার্সিংহোমের নার্সদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ জমা পড়ল বিষ্ণুপুর থানায়। অভিযুক্ত নার্সিংহোম মালিক ও দুই রিসেপশনিস্ট। অভিযোগ, বিষ্ণুপুরের এই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে দুর্নীতি থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, সব কিছুই চলে। রাত হলেই মালিক মদ খেয়ে নার্সিংহোমে ঢুকে নোংরামো করেন। প্রতিবাদ করলেই কোপ পড়ে মালিকের। এই সমস্ত অভিযোগ লিখিত আকারে জানিয়ে এবার নার্সিংহোমটি বন্ধের আর্জি জানালেন অভিযোগকারী নার্সরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই তুলকালাম বেধে যায় বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের এই নার্সিংহোমে। এর পরই প্রকাশ্যে আসে একের পর পর বিস্ফোরক অভিযোগ। জানা গিয়েছে, মাল্টি স্পেশালিটি ওই নার্সিংহোমের মালিক স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন। নার্সদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, ঘুমন্ত অবস্থায় ছবি তুলে ভাইরাল করা এবং স্বাস্থ্যসাথী দুর্নীতি এখানে লেগেই রয়েছে। অভিযোগকারীরা চান, নার্সিংহোমই বন্ধ করে দেওয়া হোক।
তাঁদের অভিযোগ, রাত হলেই হাসপাতালের ভিতর মদ্যপান ও নার্সদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন মালিক। এমনকী ঘুমন্ত অবস্থায় এক অসুস্থ গর্ভবতী নার্সের ছবি তুলে তা ভাইরাল করার মতো গুরুতর অভিযোগও সামনে এসেছে। নাম জড়িয়েছে সেখানকার রিসেপসনিস্টের। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত রিসেপসনিস্ট নার্সদের বিরুদ্ধেই পাল্টা মারধরের অভিযোগ তোলেন।
এই অভিযোগের পাশাপাশি নার্সরা জানান, এখানে চরম দুর্নীতি হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে। তাঁদের দাবি, রোগী হাসপাতালে না থাকলেও তার চিকিৎসা চলছে দেখানো হয়। এরপরই সেই সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে কর্তৃপক্ষ। যদিও সমস্ত অভিযোগ
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন হসপিটাল মালিক অভীক গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। নার্সদের সঙ্গে রিসেপশনিস্টের গোলমাল। দেখুন আমাদের এখানে সকলেই খুব ভাল। নার্সরাও খুবই ভাল। বাইরের কেউ ইন্ধন দিচ্ছে। একটু বকাঝকাকে বাইরের লোক ইন্ধন দিয়ে ভুল অভিযোগ করাচ্ছে।” আর নার্সিংহোমে মদ খেয়ে গোলমালের অভিযোগ প্রসঙ্গে অভীক গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই সমস্তটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক থেকে লোন করিয়েও দিতেন ওঁরা, তবে গ্রাহক টাকা হাতে পাওয়ার আগেই ‘কাজ হাসিল’! প্রতারণার নয়া নজির