ব্যাঙ্ক থেকে লোন করিয়েও দিতেন ওঁরা, তবে গ্রাহক টাকা হাতে পাওয়ার আগেই ‘কাজ হাসিল’! প্রতারণার নয়া নজির

Bank Fraud Case: কী ভাবে প্রতারণা? পুলিশ জানাচ্ছে, ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে প্রথমে গ্রাহকদের কাছ থেকে নথিপত্র নেওয়া হত।

ব্যাঙ্ক থেকে লোন করিয়েও দিতেন ওঁরা, তবে গ্রাহক টাকা হাতে পাওয়ার আগেই 'কাজ হাসিল'! প্রতারণার নয়া নজির
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2021 | 10:52 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ব্যাঙ্ক লোন করিয়ে দেওয়ার নামে কয়েক লক্ষ টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ (Bank Fraud Case)। প্রতারণার অভিযোগে কালীঘাট ও বেহালা এলাকা থেকে গতকাল তিন মহিলা-সহ আট জনকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

কী ভাবে প্রতারণা? পুলিশ জানাচ্ছে, ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে প্রথমে গ্রাহকদের কাছ থেকে নথিপত্র নেওয়া হত। ব্যাঙ্ক থেকে কারও নামে ৬ লক্ষ, কারও নাম ৮ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়া হত। গ্রাহকরা ঋণের টাকা হাতে পাওয়ার পরে তাঁদের কাছে চক্রের কয়েকজন লোক পৌঁছে যেত।

গ্রাহকদের বলা হত, ঋণের টাকা বিমা কোম্পানির কাছে আগে জমা দিতে হবে। বিমা কোম্পানিতে টাকা জমা পড়লে ঋণের জন্য ব্যাঙ্কের সুদ কমে যাবে। এই লোভে ঋণের টাকা পুরোটাই চক্র লোকজনের হাতে তুলে দিতেন গ্রাহকরা। পরে ওই টাকা আর তাঁরা ফেরত পেতেন না।

প্রতারিত এক মহিলা বলেন, “ওঁরা আমাদের বাড়ি এসেছিলেন। আমাদের আধার কার্ড, প্যান কার্ড নেন। ওঁরা ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। তারপর একটা ফাইল দিয়েছিলেন। তবে পড়ার আগেই ফাইল হাতে দিয়েই নিয়ে নেন। তারপর বলেন লোন হয়ে গিয়েছে। তারপর আড়াই লক্ষ টাকা দেন, পাঁচ লক্ষ টাকা। তারপর একজন বিমার লোককে ডাকেন। বলেন বিমার লোক সব টাকা নিয়ে যাবে। এরপর ২০ দিন বাদে আপনারা টাকা পাবেন। কিন্তু কোনও টাকাই পাইনি। লোনটা নেওয়ার জন্য আমরা এক এক জন পাঁচ হাজার টাকা করে খরচা করেছিলাম।”

অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ তিন মহিলা-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িয়ে থাকতে পারেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: বাসের কোণার সিটে বসেছিলেন, উর্দিধারীদের দেখতেই বাইরে এক দৃষ্টিতে নজর! ডানকুনিতে STF-র জালে মুঙ্গেরের অস্ত্র কারবারি