
ব্যারাকপুর: ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৫ জন। আহত হয়েছেন ১১০০-র বেশি। এর জেরে অনেক বাচ্চা অনাথ হয়ে পড়েছেন। দুর্ঘটনায় হাত-পা কেটে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন অনেকে। দুর্ঘটনায় যাঁদের হাত-পা বাদ গিয়েছে, বা আঘাতের জেরে অঙ্গ নষ্ট হয়েছে, তাঁরা কী ভাবে ফের রোজগার করবেন তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে অনাথ হয়ে পড়া বাচ্চাদের পড়াশোনা এবং থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব নিচ্ছে ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন। ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের অধিকর্তা স্বামী নিত্যরূপানন্দ সোমবার অনাথ বাচ্চাদের দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি জানিয়েছেন।
বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় যেসব বাচ্চা অনাথ হয়েছেন, যাদের বাবা-মা দুর্ঘটনায় কাজ করার শক্তি হারিয়েছেন, সেই সব শিশুদের পাশে দাঁড়ালো ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন। ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন ১৮ বছর অবধি সেই সব পরিবারের অনাথ বাচ্ছাদের খাওয়া-দাওয়া থেকে পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব নেবে বলে জানিয়েছে। মঠের অধিকর্তা স্বামী নিত্যরূপানন্দ জানান, অনেকেই খবর পেয়ে যোগাযোগ করছেন। তবে শুধু বাচ্চাদের দায়িত্ব নেওয়া নয়। বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদেরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে স্বামী নিত্যরূপানন্দ বলেছেন, “আমরা সাধারণত দুঃস্থ বাচ্চাদের মিশনে ভর্তি করে থাকি। ছেলে- মেয়ে সকলের জন্যই ব্যবস্থা রয়েছে। বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় আমরা শোকাহত। এই মুহূর্তে সবার এগিয়ে আসার দরকার। আমরা ঠিক করেছি যে সব বাচ্চাদের মা-বাবা মারা গিয়েছেন দুর্ঘটনায়। যাদের পরিবারের রোজগেরে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন তাদের এখানে থাকা-খাওয়া, পড়াশোনার সমস্ত ব্যবস্থা করা হবে। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত তাদের আমরা সাহায্য করে যাব। অনেক ফোন এসেছে। অনেকে যোগাযোগ করেছেন। আমরা সব যাচাই করছি। দিন সাতেকের মধ্যেই বেশ কয়েক জন এখানে ভর্তি হবে। বালেশ্বের আমাদের শাখা রয়েছে। আমাদের দল সেখানে কাজ করছে।”