Summer Vacation: তীব্র দাবদহে পুড়ছে বাংলা, এগিয়ে আসছে কি স্কুলের গরমের ছুটি?

Summer Vacation: তীব্র গরমে পুড়ছে গোটা বাংলা। জেলা জেলায় জারি হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা।এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে দ্রুত স্কুলের গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে আনার পক্ষে মত অভিভাবকদের।

Summer Vacation: তীব্র দাবদহে পুড়ছে বাংলা, এগিয়ে আসছে কি স্কুলের গরমের ছুটি?
ছবি- এগিয়ে আসছে কি গরমের ছুটি ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2022 | 3:19 PM

কলকাতা : এপ্রিলের শেষ থেকে তীব্র গরমে পুড়ছে গোটা বাংলা(West Bengal)। পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal)। কবে মিলবে বৃষ্টির(Rain) দেখা ? এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও দিশা দেখাতে পারছে না হাওয়া অফিস। গতকাল পানাগড়ের বিয়াল্লিশের রেকর্ড ভেঙে আজ বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি পার করে ফেলেছে। কলকাতাতে(Kolkata) পারদ চল্লিশ ছুঁইছুঁই। এমতাবস্থায় উদ্বেগ বাড়ছে বাংলার পড়ুয়াদের মধ্যে। এই তীব্র দাবদাহের মধ্য়ে ছাত্র-ছাত্রীরা কীভাবে স্কুলে যাবে তা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। এই অবস্থায় স্কুলে গেলে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে খুদেরা, এই আশঙ্কা করছেন অভিভাবকেরা। সূত্রের খবর, বর্তমানে সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রেখে স্কুল শিক্ষা দফতরের (School Education Department) তরফে নির্ধারিত গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হতে পারে। চলতি মাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। অন্যদিকে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে একাদশের পরীক্ষা। তারপরে ছুটি ঘোষণা হয়ে যেতে পারে বাংলার স্কুল গুলিতে। এর আগে শোনা গিয়েছিল আগামী ২৪ মে থেকে বাংলার স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়বে। ছুটি থাকবে ১১ দিন। যদিও এখনও স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে প্রতি বছরই গরমের সময় মর্নিং শিফটে স্কুলের ক্লাস চলে। কিন্তু প্রাথমিক-উচ্চ প্রথামিক স্তরের স্কুলগুলির পঠনপাঠন মূলত সকালের দিকে চললেও মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের পড়াশোনা বেলার দিকেই শুরু হয়। তাই মর্নিং শিফটেও যে এই সমস্যার পুরোপুরি সমাধানের রাস্তা রয়েছে এমনটা নয়। তাই দ্রুত গরমের ছুটির দিনক্ষণ এগিয়ে আনলেই, দাবদহের হাত থেকে থানিক মুক্তি পেতে পারেন পডুয়ারা, এমনটাই মনে করছেন নাগরিক মহলের একটা বড় অংশ।

এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মথায় রেখে বেশ কিছু পরামর্শ দিতে দেখা যায় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিয়ঙ্কর পালকে। তিনি বলেন, “গত ২ বছর বাচ্চারা স্কুলে না যাওয়ায় অনভ্যাস তো রয়েছে। সঙ্গে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তনে কষ্ট বাড়ছে। তবে এই তাপপ্রবাহ চলতে থাকলে সরকার গরমের ছুটি এগিয়ে আনার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করবে বলে আমার ধারনা। তবে যতদিন ছুটি পড়ছে না ততদিন স্কুলে যেতে সুতির জামা-কাপড় পড়লে খানিক গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সিনথেটিক জামাকাপড় পরলে ঘাম বেশি হয়। তাতে নানা চর্মরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রোদে বেরোলে অবশ্যই বাচ্চাদের হাতে ছাতা দিন। সবসময় সঙ্গে জল রাখতে হবে। রোজ কমপক্ষে ২-৩ লিটার জল পান করতে পারলে ভালো”। চিকিৎসকেরা আরও বলছেন, এই সময়ে জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশ বাড়তে থাকে। বাচ্চা-বড় সকলেরই হতে পারে। একইসঙ্গে হিট-স্ট্রোকের সম্ভাবনা এই সময়ে অনেকটা বেড়ে য়ায়। তাই জরুরি প্রয়োজন না থাকলে রোদের মধ্যে না বেরোনোই ভালো বলে মত তাঁদের।

আরও পড়ুন- পড়ুয়া-শিক্ষক পাশাপাশি বসে পর্ন দেখা যাবে আমেরিকায়! বাংলায় সম্ভব? কী বলছেন শিক্ষাবিদরা?