নলহাটি: মনোনয়ন পর্বে একদিকে যেমন জেলাগুলি থেকে উঠে আসছে অশান্তির খবর, ঠিক তেমনই নির্বাচন যত সামনে আসছে তত বাড়ছে দলবদলুদের সংখ্যা। শাসকদল ছেড়ে কেউ যোগ দিচ্ছেন বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসে। কেউ আবার বিরোধী দল ছেড়ে তুলে নিচ্ছেন ঘাসফুলের পতাকা। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না শুধুমাত্র এই আশঙ্কা থেকেই আবার শাসকদল ছেড়ে নির্দলে নাম লেখাচ্ছেন কর্মীরা। এই আবহে ফের সামনে এল দলবদলের খবর। এবারের ঘটনাস্থল বীরভূমের নলহাটি। সেখানে তৃণমূল ছেড়ে সিপিএম-এর ঝান্ডা তুলে নিলেন ৪০ জন কর্মী সমর্থক।
বীরভূমের নলহাটির বাঁন্দখেলা গ্রাম। সোমবার রাত্রিবেলা বাঁন্দখেলা গ্রামের ৪০ জন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থক সিপিএমে যোগদান করলেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন বামফ্রন্টের সারা ভারত কৃষক সভার নলহাটি ২ ব্লকের সম্পাদক তথা সিপিএমের বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য খাইরুল হাসান।
দল বদল নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিআইএমের বীরভূম জেলার সম্পাদক গৌতম ঘোষ জানিয়েছেন “দলে দলে মানুষ তৃণমূল ছেড়ে এখন আমাদের দলীয় পতাকা ধরছেন। তৃণমূল থেকে পরিত্রাণ পেতে চায় সাধারণ মানুষ।” অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার শহর সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমাদের দল এখন অনেক বড় হয়েছে। দু চারজন থাকে যারা নির্বাচন এলেই এই দল থেকে ওই দলে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা প্রকৃত দলের হয়ে কোনও দিনই কাজ করে না। তাঁরা গেলে আমাদের কিছু এসে যায় না।”
গতকালও পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল ছেড়ে সিপিএম-এ যোগদান করেন ১৫ জন কর্মী সমর্থক। যদিও, ঘটনা সত্যি নয় বলে দাবি করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপর আজ সকাল বেলাই খবরে উঠে এল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি। সেখানে আবার ২০০ জন তৃণমূল কর্মী দল ছেড়ে যোগদান করলেন তৃণমূলে। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী। অপরদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরে আবার ১৭টি অঞ্চলে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা দল ছেড়ে নির্দলে নাম লেখান।