লাভপুর (বীরভূম): গরু পাচার কাণ্ডে (Cow Smuggling Case) ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে ইডি-সিবিআই (ED-CBI)। গ্রেফতার হয়েছেন গরু পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তাবড় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তবে এরপরও কি থামানো যাচ্ছে পাচার? সোমবারও বীরভূমের লাভপুরে গরুপাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন আট জন। লাভপুর থানার পুলিশ আঠারোটি গরু-সহ ওই আট জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বোলপুরের রাস্তা থেকে নানুর হয়ে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) দিকে যাচ্ছিল ছোট হাতি-সহ দুটি গাড়ি। তার মধ্যেই গরুগুলিকে রাখা হচ্ছিল।
সন্দেহর বশে লাভপুর থানার পুলিশ গাড়িটি প্রথমে আটকায়। এরপর চালকের কাছ থেকে কাগজ দেখতে চান। কিন্তু কোনও বৈধ কাগজ না থাকায় আট জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পাচারের উদ্দ্যেশ্যে গরুগুলিকে একস্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তবে শুধু বীরভূম নয়, এর আগে আসানসোল, মুর্শিদাবাদ থেকেও পাচারের খবর সামনে এসেছিল। মুর্শিদাবাদে আবার দেখা গিয়েছিল কলার ভেলায় বেঁধে গরুগুলিতে বর্ডার পার করাচ্ছিল পাচারকারীরা। অপরদিকে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও গরুপাচার আটকেছিলেন সম্প্রতি। আর এই পাচার ইস্যুতে তৃণমূল-বিজেপি-র তরজাও কম হয়নি। কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারত বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফের (BSF) ঢালাও প্রসংশা করেন। জওয়ানদের পিঠ চাপড়ে বাহিনীর মনোবল আরও বাড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। আর ঠিক এই দিনই তৃণমূল কংগ্রেস গরু পাচার তদন্তে ইডির পেশ করা চার্জশিটকে হাতিয়ার করে বিএসএফের একাংশের বিরুদ্ধে তোলে আঙুল।