Birbhum: বাজল ব্যান্ড, ফাটল বাজি, চলল মিছিল! পুজোর আবহে এত আয়োজনের কারণ জানলে অবাক হবেন

Siuri: মৃত্যুর বিষাদের মধ্যে কেন এত জাঁকজমক পূর্ণ আয়োজন? নাতিদের একটাই কথা, ঠাকুমার নাকি শেষ ইচ্ছা এমনটাই ছিল। আর তাঁর ইচ্ছাপূরণেই এত কিছু! ক্যালেন্দিস দেবীর শেষ ইচ্ছা নাকি ছিল তাঁর মৃত্যুর সময় বাড়িতে কেউ যেন কান্নাকাটি না করে।

Birbhum: বাজল ব্যান্ড, ফাটল বাজি, চলল মিছিল! পুজোর আবহে এত আয়োজনের কারণ জানলে অবাক হবেন
বিষাদের মধ্যেও আনন্দের আয়োজন Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 25, 2025 | 5:16 PM

সিউড়ি: বাজল ব্যান্ড, ফাটল বাজি। এক ঝলক দেখলে মনে কোনও কোনও বড় অনুষ্ঠান বা কোনও পুজোর শোভাযাত্রা। কিন্তু কাছে যেতেই ভাঙল ভুল। আসলে মৃত্যুর পর শব যাচ্ছে শ্মশানে। আর তাকে কেন্দ্র করেই এত শোরগোল। এদিন ভোরের দিকে  সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বারুইপুর গ্রামে মৃত্যু হয় ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধার। বার্ধক্যজনিত কারণেই মৃত্যু বলে জানা যায়। নাম ক্যালেন্দিস মাল। তাঁরই শেষকৃত্যের জন্য মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানের উদ্দেশে যাচ্ছিল নাতিরা। আর সেখানেই দেখা গেল এই ছবি।

কিন্তু মৃত্যুর বিষাদের মধ্যে কেন এত জাঁকজমক পূর্ণ আয়োজন? নাতিদের একটাই কথা, ঠাকুমার নাকি শেষ ইচ্ছা এমনটাই ছিল। আর তাঁর ইচ্ছাপূরণেই এত কিছু! ক্যালেন্দিস দেবীর শেষ ইচ্ছা নাকি ছিল তাঁর মৃত্যুর সময় বাড়িতে কেউ যেন কান্নাকাটি না করে। সকলেই যাতে আনন্দের সঙ্গে তাঁর শেষ যাত্রায় অংশ নেয় সে কথাও বলেছিলেন বারবার। 

ঠাকুমার কথা রাখতেই মৃত্যুর পরেই ব্যান্ড-পার্টি ডেকে আনে নাতি-নাতনিরা। তারপর গান-বাজার সঙ্গে বাজিয়ে ফাটিয়ে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে। রবীন মাল নামে ঠাকুমার এক নাতি বলছেন, “আমরা আগে থেকেই এটা ভেবে রেখেছিলাম। ঠাকুমা নিজেই বলে গিয়েছিল আমি মারা গেলে তোরা কেউ চোখের জল ফেলবি না। আনন্দ করে আমাকে শ্মশানে নিয়ে যাবি। আজ ভোর চারটে নাগাদ ওনার মৃত্যু হয়। তারপরই আমরা এই উদ্যোগ নিই। আত্মীয়-স্বজনরাও আসেন। তারপর সবাই মিলে একসঙ্গে হাসপাতালে যাওয়া হল।”