বোলপুর: করোনার সময় প্রথমবার বন্ধ হয়েছিল শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকাকালীন পরপর তিন বছর বিশ্বভারতীর তরফে এই মেলা নিয়ে আগ্রহের অভাব ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তিন বছর পর আবারও গুরুদেবের শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার সম্ভাবনা। পৌষমেলা করতে আগ্রহী বিশ্বভারতী বলেই জানালেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার। মঙ্গলবার বিশ্বভারতীতে মেলা নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়।
সেখান থেকে বেরিয়ে অনিল কোনার জানান, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলা করতে আগ্রহী। তাই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তবে হাতে সময় খুবই কম থাকায় মেলার বুকিংয়ের জন্য অনলাইনে ভরসা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। তবে এখানেও একটা খিঁচ হয়ে রয়েছে। বুকিংয়ের যে সফটওয়্যার, তা নতুন করে ডেভেলপ করতে হবে। খড়গপুর আইআইটি তা করবে। তারা কতদিনে তা করে দিতে পারবে তার উপরই সবটা নির্ভর করবে।
অনিল কোনার বলেন, “আজ উপাচার্য ট্রাস্টিকে ডেকেছিলেন। আমরা ছিলাম। আমরা আলোচনা করলাম বিস্তারিতভাবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলা করতে চায়। ট্রাস্টি তো চায়ই। এই ট্রাস্টির প্রধান কাজই হল মেলা করা। তবে সময়টা খুবই কম। এই সময়ের মধ্যে আমাদের প্রধান প্রতিবন্ধকতা সফটওয়্যার। ২০১৯ সালে খড়্গপুর আইআইটি যে সফটওয়ার তৈরি করে দিয়েছিল তার মেয়াদ তিন বছর ছিল। সেটা নতুন করে করতে অনুরোধ জানাতে হবে। উপাচার্য আজই চিঠি লিখবেন এ নিয়ে। কারণ এখন অনলাইন বুকিং হয়। এই অল্প সময়ে এসে ম্যানুয়ালি বুকিং সম্ভব নয়। আর আমরা তা তুলেও দিয়েছি। আগেরবার আইআইটি ১০ দিন সময় নিয়েছিল। এবার কী করবে দেখা যাক।”