
সিউড়ি: বীরভূমে ফের শোরগোল। প্রকাশ্যে এল অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখের সংঘাত। জেলা পরিষদের সাফল্য ও ব্যর্থতা দুই শাসক নেতার আকচা-আকচি। কেষ্টর বক্তব্য, ‘জেলা পরিষদ পিছিয়ে গিয়েছে।’ তবে তাঁর দাবি উড়িয়ে পাল্টা চক্রান্তের অভিযোগ কাজল শেখের।
একটি সংবাদ মাধ্যমে অনব্রত মণ্ডল বলেন, “বীরভূম জেলা পরিষদ হঠাৎ পিছিয়ে গেল। মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। দেখতে হবে৷ আবার আমরা এক নম্বরে চলে যাব। চার বার আমরা রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারও পেয়েছি।” তারই পরিপেক্ষিতে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তিনি দাবি করেন, “একজন ছাত্র কোন পজিশন পেয়েছে সেটা জানার পাশাপাশি এটাও দেখা উচিত সে আর কোন কোন বিষয়ে ভাল কাজ করল। ১৫ ফিনান্সে পিছিয়ে থাকলেও বাকিতে ভাল অবস্থানে আছেন। যে টাকা পড়েছিল সব টেন্ডার হয়ে গেছে। ১৫ ফিন্যান্সে আমরা চার নম্বরে রয়েছি। তাই আমি বলছি কোনও অংশ বীরভূম জেলা পরিষদ পিছিয়ে নেই। এটা বিভ্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়। যে এটা নিয়ে বক্তব্য রাখছেন তিনি বীরভূমকে বদনামের চেষ্টা করছেন। ” এরপরই অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে এরপরই কাজলের দূরত্ব সামনে চলে আসে। চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন কাজল। এক্ষেত্রে কাজলের ইঙ্গিত অনুব্রতর দিকেই।
প্রসঙ্গত অনুব্রত দিন কয়েক আগে দাবি করেছিলেন, তাঁকে পুর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট ও আউসগ্রাম এবং মুর্শিদাবাদের বড়োঞার দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কেষ্টর সেই দাবিকেও নস্যাৎ করে দেন কাজল শেখ। যতক্ষণনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি না বলছেন ততক্ষণ অনুব্রতর দাবি তিনি মানেন না বলেও জানালেন কাজল।