Anubrata Mondal: অনুব্রত জেলে, ‘কেষ্ট-কালী’র পুজো করতে চাইতে হচ্ছে চাঁদা
Anubrata Mondal: এক সময় নিচুপট্টির কেষ্টকালীকে ৫৫০ ভরির উপরে সোনার গয়না পরানো হতো বলে শোনা যায়। এমনও লোকে বলে, যখন এ পুজো শুরু হল, ১৮০ ভরি মতো সোনার গয়না পরেছিল প্রতিমা। ক্রমে তা ২৬০, ৩৫০ এমনকী ৫৭০ অবধি হয়। এবারও প্রতিমা অলঙ্কারে সেজেছে। তবে সে অলঙ্কার পুরোটাই সোনার কি না তা নিয়ে কারও কারও সংশয় রয়েছে।
বোলপুর: দীপান্বিতা অমাবস্যায় বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় ধুমধাম করে পুজো করতেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনিই পুজোর হত্তাকত্তা। তাই ধীরে ধীরে লোকের কাছে এই কালী হয়ে ওঠে ‘কেষ্ট-কালী’। গত ২ বছর ধরে কালীপুজো জেলেই কাটছে অনুব্রতর। গতবার কোনওক্রমে পুজো করেছিলেন দলের লোকেরা। এবার আবার চাঁদা তুলে করতে হচ্ছে অনুব্রতর শুরু করা সেই পুজো।
গরু পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। বেশ কয়েক মাস আসানসোল জেলে থাকার পর ইডির হাতে গ্রেফতারি কেষ্টর। দিল্লি নিয়ে গেল তারা। সেই থেকে তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত।
এক সময় নিচুপট্টির কেষ্ট-কালীকে ৫৫০ ভরির উপরে সোনার গয়না পরানো হত বলে শোনা যায়। এমনও লোকে বলে, যখন এ পুজো শুরু হল, ১৮০ ভরির মতো সোনার গয়না পরেছিল প্রতিমা। ক্রমে তা ২৬০, ৩৫০ এমনকী ৫৭০ অবধি হয়। এবারও প্রতিমা অলঙ্কারে সেজেছে। তবে সে অলঙ্কার পুরোটাই সোনার কি না, তা স্পষ্ট নয়। এই নিয়ে পুজো উদ্যোক্তারাও মুখ খোলেননি।
কেষ্ট মণ্ডল যখন নিচুপট্টির বাড়িতে ছিলেন, কালীপুজোর মাসখানেক আগে থেকেই পার্টি অফিসে ব্যস্ততা তুঙ্গে থাকত। বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “পুজো একটা মানুষের জন্য কখনও বসে থাকে না। পুজো চালিয়ে যেতে হয়। বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অনুরোধে পুজো হবেই। আমরা সকলকে আসতে বলেছি। বীরভূমের জেলার নেতা কর্মীরাই চাঁদা দিয়েছেন। তা দিয়ে পুজো হচ্ছে। বিধায়ক, সাংসদ সকলের সাহায্য নিয়েই পুজো হচ্ছে।”