কমিশনের তাক লাগানো ম্যান মার্কিং, দাবাং অফিসারের কড়া ট্যাকেলে কেষ্ট

সৌরভ পাল | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Apr 29, 2021 | 11:15 PM

দিনের শেষে সন্ধ্যায় TV9 বাংলায় অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, ‘ফাইন খেলা হয়েছে।’

Follow Us

প্রদীপ্ত কান্তি ঘোষ, বীরভূম

টক্কর একেবারে সেয়ানে সেয়ানে। একজন বুনো ওল তো অন্যজন যেন বাঘা তেঁতুল। বুধবার কমিশনের নজর এড়িয়ে নজরবন্দি কেষ্ট গিয়েছিলেন কালী দর্শনে। আজও সেই সম্ভবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হল না। ২০১৬, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে যা করে দেখাতে পারেনি কমিশন (Election Commission), এদিন সেই মুশকিল আসান করলেন বীরভূমের ডেপুটি মেজিস্ট্রেট নবদীপ্ত মণ্ডল । নজর এড়ানো তো দূরে বীরভূমের (Birbhum) কেষ্টাকে সেকেন্ডে সেকেন্ডে চোখে চোখে রেখে লাইমলাইটে ‘দাবাং’ ডব্লিউবিসিএস অফিসার।

অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নজরবন্দি করে রাখতে এবার ৩ জন অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছিল কমিশন। গতবার এই দায়িত্ব পেলেও অনুব্রতর কাছে কার্যত নাকানিচুবানি খেয়েছিলেন আশিষ ঘোষ। লোকসভা ভোটেও তাঁর হাত থেকেই ফস্কে গিয়েছিলেন কেষ্ট। এবারও তাঁর চোখে ধুলো দিয়েই বুধবার আড়াই ঘণ্টার জন্য হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। বৃহস্পতিবার যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেকারণে নিজে থেকেই জেলা শাসকের কাছে নিজের মতো করে কাজ করার অনুমতি চেয়েছিলেন নবদীপ্ত বাবু। পূর্ণ সমর্থন মিলতেই কেষ্টকে কড়া ট্যাকেলে কার্যত ‘আটকে দিলেন’ তিনি।

বোলপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার অনুব্রত মণ্ডল। ভগবৎ নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে যে রাস্তা দিয়ে ভোট দিতে যান সেখানে বড় গাড়ি ঢোকে না। এই হোম ওয়ার্ক মাথায় রেখেই সবাইকে চমকে দিয়ে স্কুটার নিয়ে হাজির নবদীপ্ত মণ্ডল। সামনে যখন বাইকে চেপে মেয়েকে নিয়ে বুথমুখী অনুব্রত তখন পিছন থেকে ধাওয়া ডব্লিউবিসিএস অফিসারের। এক্সিলেটারে মোচড়, জওয়ানকে পিছনে বসিয়ে লক্ষ্যকে ধাওয়া নবদীপ্তের, রূপোলি পর্দার মতো টানটান উত্তেজনার এমন ছবিই দেখল বীরভূম। ‘টাস্ক’ শেষ করে এসে অফিসার বলে গেলেন, “নির্বাচন কমিশনের তরফে আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটাই পালন করছি। উঁনি যেখানে যেখানে যাচ্ছেন আমরা ওঁনার সঙ্গেই আছি।”

যদিও দিনের শেষে সন্ধ্যায় TV9 বাংলায় অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, ‘ফাইন খেলা হয়েছে।’ তাঁর ওপর কমিশনের এই নজরদারিকে তিনি ‘রুটিন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। অনুব্রতর বক্তব্য, “রক্ত যদি বেশি হয় মশা দিয়ে খাওয়াতে হয়।”

 

প্রদীপ্ত কান্তি ঘোষ, বীরভূম

টক্কর একেবারে সেয়ানে সেয়ানে। একজন বুনো ওল তো অন্যজন যেন বাঘা তেঁতুল। বুধবার কমিশনের নজর এড়িয়ে নজরবন্দি কেষ্ট গিয়েছিলেন কালী দর্শনে। আজও সেই সম্ভবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হল না। ২০১৬, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে যা করে দেখাতে পারেনি কমিশন (Election Commission), এদিন সেই মুশকিল আসান করলেন বীরভূমের ডেপুটি মেজিস্ট্রেট নবদীপ্ত মণ্ডল । নজর এড়ানো তো দূরে বীরভূমের (Birbhum) কেষ্টাকে সেকেন্ডে সেকেন্ডে চোখে চোখে রেখে লাইমলাইটে ‘দাবাং’ ডব্লিউবিসিএস অফিসার।

অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নজরবন্দি করে রাখতে এবার ৩ জন অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছিল কমিশন। গতবার এই দায়িত্ব পেলেও অনুব্রতর কাছে কার্যত নাকানিচুবানি খেয়েছিলেন আশিষ ঘোষ। লোকসভা ভোটেও তাঁর হাত থেকেই ফস্কে গিয়েছিলেন কেষ্ট। এবারও তাঁর চোখে ধুলো দিয়েই বুধবার আড়াই ঘণ্টার জন্য হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। বৃহস্পতিবার যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেকারণে নিজে থেকেই জেলা শাসকের কাছে নিজের মতো করে কাজ করার অনুমতি চেয়েছিলেন নবদীপ্ত বাবু। পূর্ণ সমর্থন মিলতেই কেষ্টকে কড়া ট্যাকেলে কার্যত ‘আটকে দিলেন’ তিনি।

বোলপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার অনুব্রত মণ্ডল। ভগবৎ নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে যে রাস্তা দিয়ে ভোট দিতে যান সেখানে বড় গাড়ি ঢোকে না। এই হোম ওয়ার্ক মাথায় রেখেই সবাইকে চমকে দিয়ে স্কুটার নিয়ে হাজির নবদীপ্ত মণ্ডল। সামনে যখন বাইকে চেপে মেয়েকে নিয়ে বুথমুখী অনুব্রত তখন পিছন থেকে ধাওয়া ডব্লিউবিসিএস অফিসারের। এক্সিলেটারে মোচড়, জওয়ানকে পিছনে বসিয়ে লক্ষ্যকে ধাওয়া নবদীপ্তের, রূপোলি পর্দার মতো টানটান উত্তেজনার এমন ছবিই দেখল বীরভূম। ‘টাস্ক’ শেষ করে এসে অফিসার বলে গেলেন, “নির্বাচন কমিশনের তরফে আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটাই পালন করছি। উঁনি যেখানে যেখানে যাচ্ছেন আমরা ওঁনার সঙ্গেই আছি।”

যদিও দিনের শেষে সন্ধ্যায় TV9 বাংলায় অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, ‘ফাইন খেলা হয়েছে।’ তাঁর ওপর কমিশনের এই নজরদারিকে তিনি ‘রুটিন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। অনুব্রতর বক্তব্য, “রক্ত যদি বেশি হয় মশা দিয়ে খাওয়াতে হয়।”

 

Next Article