Anubrata Mondal: লোকসভা ভোটের আগে কেন্দুলি মেলায় দেখা মিলল অনুব্রতর

হিমাদ্রী মণ্ডল | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jan 15, 2024 | 12:34 PM

Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। একসময়ের দাপুটে নেতা অনুব্রতর নাম সম্প্রতি জেলা সভাপতির পদ থেকে বাদ দিয়েছে তৃণমূল। কোর কমিটির হাতে রয়েছে দায়িত্ব। আর সেই কমিটি দায়িত্বে রয়েছেন কাজল শেখ।

Anubrata Mondal: লোকসভা ভোটের আগে কেন্দুলি মেলায় দেখা মিলল অনুব্রতর
অনুব্রত মণ্ডল
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বীরভূম: তিহাড় জেলে এক বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। নাম কাটা গিয়েছে জেলা সভাপতি পদ থেকে। সাম্প্রতিককালে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার। তৃণমূল নেতা কাজল শেখের দাপটে অনুব্রতর পোস্টার খুলে ফেলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে ফের অনুব্রতর ‘আবির্ভাব’। বীরভূমের রাজনীতি থেকে কি হারিয়ে যাচ্ছেন কেষ্ট মণ্ডল? এই প্রশ্ন যখন রাজনৈতিক মহলে ঘোরাফেরা করছে, দেখা মিলল তাঁর। না, জেলমুক্তি হয়নি এখনও। তবে জয়দেবের মেলায় দিকে দিকে দেখা যাচ্ছে অনুব্রতর ছবি।  এই ছবি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। লোকসভা নির্বাচনের আগে কি আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন কেষ্ট মণ্ডল?

জয়দেব মেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের স্টল ও একাধিক গেটে দেখা যাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহার ছবি রয়েছে সে সব জায়গায়। কোথাও নেই কাজল শেখের ছবি।

তবে শুধু তৃণমূল নয়, কবি জয়দেবের ধাম কেন্দুলির মেলা থেকে বাদ পড়ল না রাজনীতি। জয়দেবের মূল রাধা মাধব মন্দিরের পাশেই চোখে পড়ছে সিপিএম, তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির পতাকা। মেলা উপলক্ষে লাগানো হয়েছে এগুলো। পাশাপাশি স্টল করা হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দলের।

সিপিএম-এর বীরভূম জেলার সম্পাদক গৌতম ঘোষ জানিয়েছেন রাজনীতি অচ্ছুৎ নয়, তাই মন্দিরের পাশে থাকলে কোনও অসুবিধা হবে না। যেখানে বহু মানুষের জমায়েত হবে সামনের লোকসভা ভোটের প্রচার সেখান থেকেই হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। জেলবন্দি হয়েও ব্যানারে অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। তিনি বলেছে, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে লড়াই রাজ্যে শুরু হয়েছে তারই প্রতিফলন হিসেবে জেলায় জেলায় প্রকাশ পাচ্ছে সেটা।”

রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস সব জায়গায় রাজনীতি করতে ভালবাসে। ওরা বাড়িতে বাড়িতে বিভেদ লাগিয়েও রাজনীতি করে। এই পুণ্য ধামও বাদ দেয়নি তারা।” তিনি মনে করেন, অনুব্রত মণ্ডলের ছবি বা ব্যানার যতই লাগানো হোক না কেন বাংলার মানুষ সচেতন, অনুব্রত মণ্ডল ‘চোর’ সেটা সবাই জানে। তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের ছবি লাগানোর ক্ষেত্রে দলের কোনও নির্দেশ নেই। আর এটা কোনও দলীয় প্রোগ্রাম নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

Next Article