Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anupam Hazra: ‘বিজেপির দু’ তিনজন ঘুঘু এসি রুমে বসে থাকে’, ধুইয়ে দিলেন অনুপম হাজরা

Anupam Hazra: অনুপমের কথায়, দিল্লি থেকে নেতারা এসে র‌্যালি করছেন আর রাজ্যের নেতারা ছবি পোস্ট করে বলছেন, কত লোক এসেছে। মিছিলে লোক আসা মানেই যে ভোটে জিতবে তা তো নয়। বুথস্তরে সংগঠন শক্তিশালী না হলে ভোটে জেতা সহজ নয় বলেই মনে করেন তিনি।

Anupam Hazra: 'বিজেপির দু' তিনজন ঘুঘু এসি রুমে বসে থাকে', ধুইয়ে দিলেন অনুপম হাজরা
অনুপম হাজরা। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 10, 2024 | 6:23 PM

বীরভূম: দলের একাংশের বিরুদ্ধে আবারও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার। দিলীপ ঘোষের হার থেকে রাজ্যজুড়ে বিজেপির খারাপ ফল নিয়ে বঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদেরই দুষলেন তিনি। নরমে গরমে বুঝিয়ে দিলেন, দলের সিদ্ধান্তেই এমন ফল।

পুরনো একটি মামলায় হাজিরা দিতে সোমবার বোলপুর আদালতে এসেছিলেন অনুপম হাজরা। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি তো বলেছিলাম দু’ অঙ্কের ঘর পৌঁছবে কি না। কোনওমতে টেনেটুনে দু’ অঙ্ক ছুঁল। হারের মূল কারণই পুরনো লোককে নামানো হয়নি। তাঁদের বসে থাকা। বোলপুর, বীরভূম, আসানসোল, পূর্ব বর্ধমান, যাদবপুর, বাঁকুড়ায় বিজেপির প্রার্থী হেরেছে, কারণ বিজেপির পুরনো কর্মীরা বসে থেকেছেন। কেউ যোগাযোগই করেনি তাঁদের সঙ্গে।”

দিলীপ ঘোষের হার প্রসঙ্গে ‘ঠোঁটকাটা’ অনুপমের বক্তব্য, “যে মানুষ যেখান থেকে জিতে আসেন তাঁকে বদলাতে নেই। দিলীপদাকে কেন অন্য জায়গায় দেওয়া হল বুঝলাম না। দিলীপদাকে তো ধরে বেঁধে হারানো হয়েছে মনে হচ্ছে।

অনুপমের কথায়, দিল্লি থেকে নেতারা এসে র‌্যালি করছেন আর রাজ্যের নেতারা ছবি পোস্ট করে বলছেন, কত লোক এসেছে। মিছিলে লোক আসা মানেই যে ভোটে জিতবে তা তো নয়। বুথস্তরে সংগঠন শক্তিশালী না হলে ভোটে জেতা সহজ নয় বলেই মনে করেন তিনি।

রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে এর আগেও সরব হয়েছেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ। এদিনও বলেন, “যে দু’ তিনজন বঙ্গ বিজেপি চালান, তাঁরাই এর জন্য দায়ী। বছরের পর বছর বঙ্গ বিজেপি হারবে আর প্রতিবারই বলবে পরেরবার ভাল করব, এই থিওরি তো থামাতে হবে। এটা নিজেদের সান্ত্বনা দেওয়া। সল্টলেকে বঙ্গ বিজেপির অফিসে যে ঘুঘুর বাসা সেটাকে ভাঙতে হবে। দু’ তিনজন ঘুঘু এসি রুমে বসে থাকে সারা বছর। সেই ঘুঘুর বাসা ভেঙে বুথে লোক তৈরি করতে হবে। এটাই একমাত্র সমাধান। তাতে যদি বঙ্গ বিজেপির একটি সংস্কার হয়।”