বীরভূম: জমি নিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে তো আইনি লড়াই চলছেই এর মধ্যে ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। তবে শুধু শ্লীলতাহানি (Molestation) নয়, তাঁর বিরুদ্ধে লাগাতার কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রী। সামনে এসেছে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৫৪ এ, ৩৫৪ বি, ৩৫৪ ডি, ৫০৬, ৫০৯, ৩৭৬, ৫১১, ৫০০ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে শিক্ষা বিভাগে গবেষণা শুধু করেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ, তারপর থেকেই লাগাতার তাঁকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন অভিযুক্ত অধ্যাপক। এমনকি তাঁর আরও অভিযোগ, গবেষণাপত্রে স্বাক্ষর করার নাম করে সহবাসের চেষ্টা করেন অভিযুক্ত। এ বিষয়ে তিনি বিভাগীয় প্রধান-সহ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাখা কমিটিতেও জমা পড়েছিল অভিযোগ। কিন্তু, নির্যাতিতার অভিযোগ, তারপরেও বিশেষ কোনও পদক্ষেপ করেনি বিশ্বভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
শেষ পর্যন্ত শান্তিনিকেতন থানার দ্বারস্থ হয়ে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। তাঁর অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, বর্তমানে উত্তরবঙ্গের এক কলেজের অধ্যাপক হিসাবে কাজ করছেন ওই নির্যাতিতা। পাশাপাশি চলছে গবেষণার কাজ। এদিকে আগেই বিশ্বভারতীতে অভিযোগ জমা পড়ার পরেও কেন কোনও পদক্ষেপ করল না কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।