রামপুরহাট: মৃত্যু হল বীরভূমের বগটুইয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উপ-প্রধান ভাদু শেখ খুনে অন্যতম অভিযুক্ত কবিরুল শেখ ওরফে ছোট লালনের। মঙ্গলবার সকালে তাঁর পরিবারের তরফ থেকে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। ২০২২ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপ-প্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে ও গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তদন্তে ভাদু শেখ খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে সিবিআই গ্রেফতার করে কবিরুল শেখ ওরফে ছোট লালনকে।
সেই সময় থেকে তিনি জেল হেফাজতে ছিলেন। জেল হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর মুখে ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেই রোগের চিকিৎসা করানোর জন্য মাস দুয়েক আগে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। তারপর কলকাতার একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ায় তিন-চারদিন আগে তাঁকে রামপুরহাটের বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় ছোট লালনের।
উল্লেখ্য, ভাদু শেখ খুনের মামলার পাশাপাশি ভাদু শেখের দাদা বাবর শেখ খুনেও অভিযুক্ত ছিল কবিরুল শেখ ওরফে ছোট লালন। ২০২১ সালে রামপুরহাটের প্রত্যন্ত গ্রাম বগটুইয়ে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে বোমা মেরে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। তারপর গ্রামে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয় একাধিকজনকে। পরে হাসপাতালেও মৃত্যু হয় অনেকের। এই মামলায় আরও এক অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন লালন। তাঁরও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন। সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা হয়। পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে লালনকে। সেই মামলা এখন বিচারধীন। তদন্তে গঠিত হয়েছে সিটও।