Bagtui Massacre: লালনের বাড়ির সিসি ক্যামেরাতেই বন্দি গণহত্যার ‘ক্লু’? নজর এবার তাতেই

Bagtui Massacre: সব থেকে উল্লেখ্যযোগ্য, মিনা বেগম তাঁর মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে জানিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁকে কুপিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Bagtui Massacre: লালনের বাড়ির সিসি ক্যামেরাতেই বন্দি গণহত্যার 'ক্লু'? নজর এবার তাতেই
লালনের বাড়িতে সিসিটিভি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 31, 2022 | 3:15 PM

বীরভূম: বগটুই গণহত্যার ছবি সিসিটিভি বন্দি। মূল অভিযুক্ত আনারুলের এক শাগরেদ লালনের বাড়িতেই রয়েছে সেই সিসিটিভি। সেখানেই মিলতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ‘ক্লু’। এই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ফটিক শেখের বাড়ির দিকেই সেই ক্যামেরা। এরই মধ্যে লালনের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। লালনের বাড়িতে রয়েছে মোট দুখানা সিসিটিভি রয়েছে। একটা ক্যামেরা বাড়ির উঠোনের দিকে, আরেকটি সিসি ক্যামেরা বাড়ির বাইরের দিকে। লালনের বাড়ির বাইরে রয়েছে একটা ফাঁকা জমি। জমির ওপারেই রয়েছে ফটিক শেখের বাড়ি। ৮-১০ মিটার দূরত্বেই রয়েছে ফটিক শেখের বাড়ি। ফটিক শেখ হলেন এই ঘটনার অন্যতম আরও এক সাক্ষী। সেদিন ফটিকের বাড়িতেও আগুন ধরিয়েছিল ভাদুর অনুগামীরা। চলেছিল তাণ্ডব। ঘটনায় মৃত্যু হয় ফটিক শেখের স্ত্রী মিনা বেগমের।

সব থেকে উল্লেখ্যযোগ্য, মিনা বেগম তাঁর মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে জানিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁকে কুপিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে প্রশ্ন উঠছে, লালনের বাড়িতে লাগানো এই ক্যামেরাতে ঘটনার রাতের ছবি ধরা থাকতে পারে। কারা ফটিক শেখের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল, তাদের চিহ্নিত করতে চান তদন্তকারীরা। ক্যামেরার সোজাসুজি জমি আর তার ধার ঘেঁষেই ফটিক শেখের বাড়ি।

একটা বিষয় উল্লেখ্যযোগ্য, লালনের বাড়িতে যে সিসিটিভি রয়েছে, তা এতদিন কীভাবে এড়িয়ে গেল তদন্তকারীদের? কারণ ঘটনার পর থেকে তো পুলিশ, সিট আধিকারিক ও সিবিআই তদন্তকারীরা গ্রামে একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছেন। এতদিন কোনও তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়নি তো? সে প্রশ্নও থাকছে।

লালন কিংবা তার অনুগামীরা সিসিটিভি থেকে ফুটেজ মুছতেও পারে, সেই সম্ভাবনা থাকছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। গ্রামের ছবিটা এখনও খুব একটা বদলায়নি। গুটি কয়েক বাড়িতে বাসিন্দারা ফিরেছেন, কিন্তু বেশিরভাগ বাড়ি এখনও ফাঁকা। লালনের প্রাসাদপম বাড়ির পাশের বাড়িই হল বাবার শেখের। তিনি টোটো চালক। তাঁর স্ত্রীকে ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট উইটনেস’ বানানো হয়েছে এই মামলায়। তাঁর বক্তব্য, “যাদের মধ্যে লড়াই তারা গ্রামে ফিরে আসছে। পুলিশ, সিবিআই চলে যাবে। কিন্তু আমাদের গ্রামে থাকতে হবে।” বোঝাই যাচ্ছে, আতঙ্ক এখনও দানা বেঁধে রয়েছে বুকে।

সেই কুকুর বাচ্চা

বৃহস্পতিবার সকালে তালা ভেঙে লালনের বাড়িতে ঢোকে সিবিআই। এই বাড়ি থেকেই পাওয়া যায় অ্যালসেশিয়ানের বাচ্চা। ৯ দিন ধরে কি তাহলে না খেয়েই ঘরে ছিল এই কুকুর শাবক? নাকি নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকেই লালনের বাড়িতে যাতায়াত ছিল কারোর? প্রশ্ন উঠছেই।

আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: ওই রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঠিক কী দেখেছিলেন? বগটুই কাণ্ডে দমকলের ওসি-পুলিশ কর্তার বয়ান রেকর্ড আজ