
বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডলের ত্রাতা হিটলার! আর এই হিটলারকে ঘিরেই এখন উঠছে একাধিক প্রশ্ন। হিটলার চৌধুরী হলেন রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের BMOH। তিনি একদিকে যেমন সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক, তেমনি আবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ, তাঁর চিকিৎসক, আবার তিনিই আরও একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে চাকরিও করেন। প্রশ্ন উঠছে একাধিক।
SDPO অফিসে গত রবিবার অনুব্রতর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সেখানে গেলেন না, বরং পাঠালেন আইনজীবীদের। কিন্তু একটি মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা দিলেন। তাতে অনুব্রত মণ্ডলকে পাঁচ দিনের ‘বেড রেস্টের’ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সার্টিফিকেটে সই রয়েছে এইচ চৌধুরীর। পাশে লেখা রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮৭৮৪৫। এই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে WBMC সাইটে গিয়ে সার্চ করতেই দেখা গেল, সেখানে নাম আসছে হিটলার চৌধুরীর। যিনি চিনের কুমকুমিং প্রদেশের একটি কলেজ থেকে পাশ করেছেন। পরে তিনি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত করেছেন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে হেলথ সার্ভিসে রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক হলেন হিটলার। হিটলার আবার কাজ করেন শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজেও। আর সেটা সামনে এসেছে অনুব্রত মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের দ্বারাই। অনুব্রতর জমা দেওয়া প্রেসক্রিপশনে হিটলার চৌধুরীর নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, সই রয়েছে। আর সেটি শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমার্জেন্সির বিভাগের প্যাডে লেখা।
এতেই বোঝা যাচ্ছে, হিটলার চৌধুরী দুটি চাকরি করেন। এক, তিনি রামপুরহাট ১ নম্বরের BMOH, দুই, তিনি শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেসিডেন্সিয়াল মেডিক্যাল অফিসার। একজন সরকারি স্বাস্থ্য আধিকারিক কীভাবে বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন? সেখান থেকে বেতন তোলেন? খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকদের মতোই হিটলারের অ্য়াকাউন্টেও প্রতি মাসে বেতন ঢোকে। উল্লেখ্য, এই শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পীটের। কিন্তু কীভাবে তিনি একসঙ্গে দুটি চাকরি করতে পারলেন, সেটার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। হিটলারের মাথায় কার হত? উত্তর মেলেনি সেটারও।