বীরভূম: ১৩ বছরে তিন কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ শাসকনেতার বিরুদ্ধে। দুবরাজপুরে তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতিকে টাকা ফেরানোর নির্দেশ রাজ্য রেজিস্ট্রার্ড অফ কো-অপারেটিভ সোশ্যাইটির। ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে চিনপাই সমবায় থেকে ৩ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা সরানোর অভিযোগ সমবায়ের তৎকালীন সভাপতি ও দুবরাজপুরের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্রের বিরুদ্ধে। সমবায়ের অন্যান্য সদস্যদের সই জাল করে টাকা হাতানোর অভিযোগ। সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা ভোলানাথ মিত্র। তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন।
চিনপাইয়ের কনস্ট্রাকশন সোশ্যাইটির প্রাক্তন সেক্রেটারি ছিলেন ভোলানাথ মিত্র। বেশ কয়েক বছর ধরেই সমবায়ে আর্থিক গরমিলের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ব্লক সভাপতি প্রভাব খাটিয়ে ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কয়েক ধাপে ৩ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ভোলানাথ মিত্র। অন্যান্য সদস্যদের সই নকল করে এই দুর্নীতি করেন বলে অভিযোগ। ২০২৪ সালে বিষয়টি জানতে পারে কো-অপারেটিভের অন্যান্য সদস্যরা। এরপর তাঁরা অভিযোগ দায়ের করে ARCS-এ। এখানে ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সালের অডিট হয় এবং সেই অডিটেই ধরা পড়ে দুর্নীতির কথা।
তদন্তে উঠে আসে ভোলানাথ মিত্রের নাম। সমস্ত টাকা ভোলানাথকে মার্চ মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের কো অপারেটিভ সংস্থা।
এক অভিযোগকারী বলেন, “২০১২-১৩ সালে প্রায় ৯৬ লক্ষ টাকার হিসাব পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন খাতে খরচ দেখিয়ে টাকা সরানো হয়েছে। আসলে যারা মেম্বার, যাদের টাকা পাওয়ার কথা, তাদের কাছে না এসে ওই টাকা ওরা আত্মসাৎ করেছে। এর সঙ্গে আরও একজন জড়িত, তার নাম তুলসী দাস।”
সমবায় সমিতির সদস্য জহুর হোসেন বলেন, “৩ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা! বিভিন্ন খাতে টাকা তুলেছে ২০১২-২০১৪ সাল থেকে। তখনই বলেছিলাম। প্রশাসনকে দিয়ে ভয় দেখিয়েছিল আমাদের।”
যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ভোলানাথ মিত্রের বক্তব্য, “অভিযোগ করলেই তো হল না। আমি হাইকোর্টে গেছি, এবার যা বলবে আদালত বলবে। আমি তো বলছি মিথ্যা। এবার যা বলবে আদালত বলবে।”