মল্লারপুর: গৃহবধুকে ধর্ষণ করতে গিয়ে বাধা পাওয়ায় গৃহবধূ ও তাঁর ঠাকুমাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরূদ্ধে। ঘটনার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী ওই অভিযুক্ত যুবক। ঘটনাটি বীরভূমের মল্লারপুর থানা এলাকার। এই ঘটনায় জখম গৃহবধূ ও তাঁর ঠাকুমাকে রামপুরহাট গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাত্রিবেলা বীরভূমের মল্লারপুর থানার নিজের সন্তানের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন এক গৃহবধূ। সেই সময় গ্রামের এলাকার এক যুবক ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। গৃহবধুর অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে বাধা দিলে অভিযুক্ত ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে।
গৃহবধুর বাড়ির লোকের অভিযোগ,ঘরে ঢোকার আগে তাঁর ঠাকুমাকেও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে ঘায়েল করে দেয়। এদিকে বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হয়। খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছয় মল্লারপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত উৎপলের খোঁজে তাঁর বাড়ি যায় পুলিশ। না পেয়ে তাঁর বাবাকে মল্লারপুর থানায় নিয়ে আসে।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় গ্রামের একটি গাছ থেকে। ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে মল্লারপুর থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আক্রান্ত মহিলার ভাসুর কৈলাশ মণ্ডল বলেন, “আমরা শুনলাম ও আত্মহত্যা করেছে। পরে শুনলাম বাকি ঘটনা।”