Birbhum: ফুটবল খেলায় হার, জয়ী দলের সদস্যদের ‘পিটিয়ে’ জেলে TMC চেয়ারম্যানের ভাইপো

Birbhum Chaos: সদাইপুর থানার বাঁধেশ্বর গ্রামে ছিল ফুটবল খেলা। দুবরাজপুরের নামো পাড়ার ছেলেরা ফাইনালে জিতে যায়, হেরে যান নায়ক পাড়ার ছেলেরা। নায়েক পাড়ার ছেলেরা নামো পাড়ার ছেলেদেরকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ।

Birbhum: ফুটবল খেলায় হার, জয়ী দলের সদস্যদের পিটিয়ে জেলে TMC চেয়ারম্যানের ভাইপো
ডান দিকে ধৃত অভিযুক্তImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 19, 2025 | 10:41 PM

বীরভূম: ফুটবল খেলতে গিয়ে হার! তাতেই জয়ী সদস্যদের রাস্তায় বেধড়ক মারধর। কাঠগড়ায় তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যানের ভাইপোর বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য বীরভূমের দুবরাজপুরে। জয়ী হওয়া দলের পাঁচ সদস্যকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁদের আঘাত গুরুতর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিবাদের দুবরাজপুরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। যদিও এই নিয়ে চেয়ারম্যানের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সদাইপুর থানার বাঁধেশ্বর গ্রামে ছিল ফুটবল খেলা। দুবরাজপুরের নামো পাড়ার ছেলেরা ফাইনালে জিতে যায়, হেরে যান নায়ক পাড়ার ছেলেরা। নায়েক পাড়ার ছেলেরা নামো পাড়ার ছেলেদেরকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ।

আহত হন পাঁচ জন খেলোয়াড়। অভিযোগ ওঠে, মারধরের নেপথ্যে রয়েছেন তৃণমূলের দুবরাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পান্ডের ভাইপো সাগ্নিক পাণ্ডে। তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে এই দাবিতে দুবরাজপুরে রাস্তা অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনায় মোট পাঁচ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছে, একজনকে গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বাকিরা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এই ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা।  ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিতে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে দুবরাজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানের ভাইপো সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানা পুলিশ। জয়ী দলের এক খেলোয়াড় বলেন, “খেলার সময়ে একটা ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু সেটা রেফারির দ্বারা মিটমাট হয়ে যায়। পরে যখন আমরা ট্রফি নিয়ে ফিরছি, রাস্তার মাঝে আমাদের আটকায়। তারপর হঠাৎই করেই মারা শুরু করে।”