বীরভূম: গ্রামে খেলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ। একে অপরকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইট বৃষ্টি, বাঁশ দিয়ে চলে বেপরোয়া ভাঙচুর, লাঠি নিয়ে একে অপরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি থানার কেন্দুয়া পঞ্চায়েতের গোপালপুর এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার গোপালপুর এলাকায় একটি খেলা ছিল। সেই খেলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকায় প্রভাবশালী শেখ জালালউদ্দিন গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা রওসানাড়া বিবির লোকজনের অশান্তি হয়। এই রওসানাড়া বিবি সিউড়ি ২ ব্লকেল সভাপতি নুরুল ইসলামের অনুগামী।
এক পক্ষের অভিযোগ, রওসানাড়া বিবির লোকজনই অপর গোষ্ঠীর উপর প্রথম চড়াও হয়৷ অভিযোগকারীদের দাবি, পঞ্চায়েত সদস্য এলাকায় যে কোন সরকারি কাজে টাকা নিচ্ছেন। অপর গোষ্ঠী প্রতিবাদ করায় এই বুথ পরিচলনার জন্য কমিটি তৈরি করা হয়। সেখানে পঞ্চায়েত সদস্যার লোকজন এসে অশান্তি করেছে। মারধর করেছে।
যদিও পঞ্চায়েত সদস্যার লোকজনের পাল্টা দাবি, ওই পক্ষের লোকজন ইচ্ছা করে অশান্তি পাকাচ্ছে। ওই পক্ষের লোকজনই বরং এসে মারধর ভাঙচুর করেছে। নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছড়িয়ে পড়ে সে কারণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিউড়ি থানার বিশাল বাহিনী। ঘটনাই ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি আহত হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককেই সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, যদিও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।
কেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি শেখ জালালউদ্দিন বক্তব্য, “গোপালপুরে শান্তিপূর্ণভাবেই খেলা চলছিল। দিলীপ বলে একজনকে গ্রামের নেতৃত্ব বরখাস্ত করেছিল আগেই, সে এসেই অশান্তি শুরু করে। সকাল থেকে খেলা চলাকালীন কয়েকজনকে নেশা করিয়ে অশান্তি করিয়েছে।”