Bongaon: গোপাল Vs বিশ্বজিৎ? গোপালের বিরুদ্ধে অনাস্থায় ‘না’, আক্রান্ত দলেরই ৬ কাউন্সিলর

Bongaon TMC: বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের বিরুদ্ধে ৯ জন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বনগাঁ পৌরসভা ও এস ডি ও অফিসে । বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে গত ৬ নভেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ।

Bongaon: গোপাল Vs বিশ্বজিৎ? গোপালের বিরুদ্ধে অনাস্থায় না, আক্রান্ত দলেরই ৬ কাউন্সিলর
বাঁ দিকে গোপাল শেঠ, ডান দিকে বিশ্বজিৎ দাসImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 20, 2025 | 3:52 PM

বনগাঁ: নগাঁ পৌরসভার ৬ তৃণমূল কাউন্সিলর আক্রান্ত। তৃণমূল কাউন্সিলরদের বাড়িতে হামলা, গুলি, বোমাবাজির অভিযোগ। পুরপ্রধান গোপাল শেঠের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সই না করাতেই কি হামলা? প্রশ্ন তুলছেন আক্রান্ত কাউন্সিলররা। দলের আক্রান্ত কাউন্সিলরদের পাশে সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।

দলের আক্রান্ত কাউন্সিলর শিখা ঘোষ বলেন, “রাত সাড়ে আটটা নাগাদ এক-দেড়শো ছেলে বাড়ির সামনে আসে। আমি বারান্দায় গেলে গালিগালাজ করতে থাকে। জেলার পার্টি অফিসে আমাদের ডেকেছিল অনাস্থায় সই করতে। আমি করিনি। রাতে তো এই হামলা।” আক্রান্ত আরেক কাউন্সিলর শর্মিলা দাস বৈরাগী বলেন, “আমরা কোনও প্ররোচনায় পা দেব না। কোনও লোভের কাছে মাথানত করব না। আমরা যখন অনাস্থা পেপারে সই করি নি, তখনই আমাদের বলা হয়েছিল দেখে নেব। জেলার সভাপতি দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।” জেলা সভাপতি অর্থাৎ বিশ্বজিৎ দাসের দিকেই অভিযোগের আঙুল।

বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের বিরুদ্ধে ৯ জন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বনগাঁ পৌরসভা ও এস ডি ও অফিসে । বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে গত ৬ নভেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল । গত ৮ নভেম্বর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সাংবাদিক সম্মেলন করে গোপাল শেঠকে ৭ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল ১৫ তারিখ পর্যন্ত । কিন্তু গত ১৪ ই নভেম্বর বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুরজিৎ দাসকে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব দিয়ে চিঠি দেয় ।

বুধবার বনগাঁ পৌরসভার ২২ জন কাউন্সিলর এর মধ্যে ১৫ জন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে বৈঠক করে । ৬ জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাবের সই না করে তৃণমূলের জেলা কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান । পরবর্তীতে ৯ জন কাউন্সিলর দলীয় সিদ্ধান্ত মত চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বনগাঁ পৌরসভা ও বনগাঁ এসডিও অফিসে।

সাংসদ তথা বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মমতাবালা ঠাকুর বলেন, “বাইরে থেকে দুষ্কৃতী এনে, বনগাঁকে অশান্ত করার যে চেষ্টা হয়েছে, এটা নিয়ে উপরমহলে কথাবার্তা চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে দ্রুত।” যদিও বিশ্বজিতের বক্তব্য, “কালকের ঘটনা কেন হয়েছে, পুলিশ দেখছে। আমারও পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। অনেকেই অনাস্থা পেপারে সই করেছে। ওরা কেন এটা বলছে, সেটা দেখা হচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে লাইনে রয়েছে, তারা কেউ কেউ করতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেস একটাই পরিবার।”

অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে সরব বিজেপি। বনগাঁ পৌরসভার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিজেপির কাউন্সিলর দেবদাস মন্ডল বলেন, “এটা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল । আমরা আগেই বলেছি সাধারণ মানুষ যেন পৌর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয় ।। অচলাবস্থার কারণে সাধারণ মানুষের পরিষেবা যেন ব্যহত না হয়।”