
বীরভূম, মল্লারপুর: বীরভূমে আটক উত্তর প্রদেশের বাস। সারা দিন আটকে রাখা হয় বাসের ৬০ জন যাত্রীকে। খাবার ও জল দেওয়া হয়নি। প্রায় ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় বাসটিকে। এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুর থেকে একটি বেসরকারি বাস রিজার্ভ করে তারাপীঠ মন্দির এসেছিলন প্রায় ৬০ জন যাত্রী। এর মধ্যে অনেক মহিলা ও শিশুও ছিল। তারাপীঠে পুজো দিয়ে বাসটি দেওঘর যাচ্ছিল। বীরভূমের মল্লারপুরের কাছে রাজ্য পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা বাসটিকে আটক করেন, পারমিট দেখতে চান। বাসের চালক পারমিট দেখালে পরিবহন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বলেন যে এটি জাল পারমিট।
এরপরই ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪৪৫ টাকার ফাইন করা হয়। এত টাকা দিতে না পারায়, যাত্রী সহ বাসটিকে দিনভর আটকে রেখে দেয় পরিবহন দফতরের আধিকারিকেরা। চরম ভোগান্তিতে পড়েন বাসের যাত্রীরা। তাদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বৈধ পারমিট ছিল তাদের কাছে। তারপরও জোর করে বাসটিকে আটকে রাখা হয় এবং প্রায় ২ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। তাদের সারাদিন কোনও খাবার বা জলও দেওয়া হয়নি।
খবর জানাজানি হতেই আসরে নামে এলাকার বিজেপি কর্মীরা। তারা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করলেও বাসটিকে ছাড়তে রাজি হয়নি। এরপরই ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করেন বাসের যাত্রীরা। পরে মল্লারপুর থানার পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। গভীর রাতে বাসটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিজেপির অভিযোগ, বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের যেমন ভিনরাজ্যে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে, তার মতোই উত্তর প্রদেশের গাড়ি দেখলেই ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনও সেই মতো কাজ করছে।