বোলপুর: গরু পাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling Case) ইতিমধ্যেই তিহাড়ে রয়েছেন বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। একই সঙ্গে রয়েছেন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। তবে সিবিআই-এর নজরে এখনও বীরভূম। বুধবার গরুপাচার মামলার তদন্তের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শান্তিনিকেতনের রতনকুঠি গেস্ট হাউসে পৌঁছয় সিবিআই-এর তদন্তকারী দল। ছিলেন তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। আসানসোল থেকে সরাসরি সড়কপথে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিশেষ দল পৌঁছয় শান্তিনিকেতনে।
সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচারকাণ্ডে বেশ কয়েকজন ব্যাঙ্ক কর্মীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জানা যাচ্ছে, আজ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তি ও জেলার শাসকদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীকে ডাকা হতে পারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩১ মে গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে সাঁইথিয়ার দু’জন চালকল মালিক মালিক প্রিংশু ছাঁঝের ও আকুল দাসকে তলব করে সিবিআই। কলকাতার নিজাম প্যালেসে ডাকা হয় তাঁদের। পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে এদের সংযোগ পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা এমনটাই সিবিআই সত্রে খবর মিলেছিল । জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সময় এই দুই চালকলের মালিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে এনামুল হকের অ্যাকাউন্টে।
এ দিকে, গতকাল আবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিহাড় থেকে আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারককে জামিনের জন্য কাতর আর্জি জানান অনুব্রত মণ্ডল। বলেন, “শরীর ভাল নেই। হাতে পায়ে যন্ত্রণা। মাথায় ব্যথা। ব্যালেন্স পাচ্ছি না। সুগার ২৫০। জামিনটা দিয়ে দিন স্যর।” যদিও সায়গলের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেননি। অনুব্রত মণ্ডল ও বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তাও হয়।