
মহম্মদ-বাজার: মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণের হুমকি। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন খোদ পুলিশেরই হোমগার্ড। সেই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে হাওড়ার উলুবেড়িয়া। আর এই আবহের মধ্যেই আবারও এক স্বাস্থ্য কর্মীকে নিগ্রহের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। মদ্যপ অবস্থায় এক নার্সের উপর হামলার অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে আবারও প্রশ্নের মুখে মহিলাদের নিরাপত্তা।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার কাঁইজুলি বিপিএইচসি-তে। সেখানে আহত হন নার্সিং ওই স্টাফ। তাঁর নাম রিনা মণ্ডল। তাঁকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিপিএইচসি-র কাজ শেষ করে তিনি অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় আচমকায় মদ্যপ এক স্থানীয় যুবক ঢুকে পড়েন ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। অভিযোগ, এরপর নার্সের থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ চাইতে থাকেন তিনি। তারপরই হঠাৎ পাথর নিয়ে হামলা চালায় অভিযুক্ত। ক্রমাগত পাথরের বাড়ি মারতেই থাকে। তখনই নার্সিং স্টাফের মাথায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা এসে ওই যুবককে ধরে ফেলেন। পরে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে। আহত মহিলাকে সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মাথায় ২২ টি সেলাই পড়েছে। ধৃত ওই যুবকের নাম রাজিব কাহার।
এ প্রসঙ্গে আহত নার্সের স্বামী সন্তোষ ঘোষ বলেন, “যখন ঘটনা ঘটেছিল তখন তো আমিই বাড়িতেই ছিলাম। ছুটি চলছে। এরপর ৩টে নাগাদ ফোন আসে। সবটা জানায়। তারপর আমি হাসপাতালে গেলাম। দেখলাম পুরো মাথাজুড়ে সেলাই। BMOH এর উপর শুনলাম,আমার স্ত্রী জিনিস গুছোচ্ছিলাম। সেই সময়ই দরজা বন্ধ করে দেয় ওই মদ্যপ লোক। তারপর আমার স্ত্রীকে পাথর দিয়ে মাথায় মারে। আমার স্ত্রীর চিৎকার এক মহিলা শুনতে পান। উনি দরজা খুলে দেন। তখনই দুষ্কৃতী পালিয়ে যান। ওঁকে আর ওইখানে পাঠাব না। নির্জন জায়গা। আমি খুবই আতঙ্কিত।”