Birbhum: ‘ছেলে-মেয়েকে পড়াও, কিন্তু পুলিশ অফিসার বানিও না…’, কেষ্টগড়ে ঘুরছে টোটো

Birbhum: কিছুদিন আগেই বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোনে অকথ্য ভাষায় আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। শুধু তাঁকেই গালাগালাজ করা নয়, লিটনবাবুর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে কেষ্টর বিরুদ্ধে।

Birbhum: ‘ছেলে-মেয়েকে পড়াও, কিন্তু পুলিশ অফিসার বানিও না…’, কেষ্টগড়ে ঘুরছে টোটো
বীরভূমে ঘুরছে টোটো Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 10, 2025 | 4:03 PM

বোলপুর: ছেলে-মেয়েকে পড়াও, কিন্তু পুলিশ অফিসার বানিও না। নাহলে মা-বোনের ইজ্জত চলে যাবে। টোটোর পিছনে লেখা এমনই লাইন। তাই ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরের নানা প্রান্তে। এই টোটো ঘিরেই এখন জোর শোরগোল বীরভূমে। টোটোটি সুখেশ চক্রবর্তী ওরফে ঠাকুরের। তবে এই প্রথম নয়, রাজ্যের বুকে ঘটে যাওয় নানা দুর্নীতির ইস্যুতে আগেও এইভাবে নিরব প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের দুর্নীতির প্রসঙ্গ হোক বা অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার মামলায় জেলে যাওয়া। সব ইস্যুতেই একই কায়দায় প্রতিবাদে সরব হয়েছে ঠাকুরের টোটো। 

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোনে অকথ্য ভাষায় আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। শুধু তাঁকেই গালাগালাজ করা নয়, লিটনবাবুর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে কেষ্টর বিরুদ্ধে। তা নিয়ে জেলা তো বটেই, গোটা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে শোরগোলের অন্ত নেই। এখনও বহু মানুষের ফোনে ফোনে ঘুরছে সেই ভাইরাল অডিয়ো। যা প্রথমে সামনে আসে বিজেপির হাত ধরে। 

এদিকে অডিয়ো কাণ্ডে বিতর্ক বাড়তেই অনুব্রতকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয় দল। ক্ষমাও চান তিনি। যদিও তাঁর অনুগামীদের একাংশের দাবি, এর পিছনে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাত। গ্রেফতারির দাবি জোরাল হতেই সুর বদলেছে অনুব্রতরও। এখন প্রতিবাদী টোটোর চালক সুখেশ চক্রবর্তী বলছেন, যেভাবে একজন পুলিশকে আক্রমণ করা হয়েছে তা কোনওভাবেই ঠিক নয়। যদিও এই কাজ করেও তিনি যে অকুতভয় সে কথাও বললেন বারেবারেই। তাঁর কথায়, “আমার তো ভয়ের কিছু নেই। আমি তো সত্য কথাটা তুলে ধরেছি। আমি ভয় শুধুমাত্র নিজের মা-বাবা আর উপরওয়ালাকে খাই।”