
নলহাটি (বীরভূম): কয়েকদিন আগের ঘটনা। পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকজন শ্রমিককে ওড়িশায় বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠছিল। আবারও পুনরাবৃত্তি এই ঘটনার। ওড়িশায় আরও একবার বাংলার পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিককে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করল সেখানকার পুলিশ। আটক শ্রমিকরা প্রত্যেকে বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের ভগলদিঘি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, আধার ভোটার কার্ড দেখানো পরও তাঁদের ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্পে।
আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ির সদস্যের দাবি, এই পাঁচজন পরিযায়ী শ্রমিককে ওড়িশার ভদ্রকের আগরপাড়া থানায় প্রথমে ডেকে পাঠানো হয়। তারপর তাঁদের আটক করে ওড়িশা পুলিশ। আটক শ্রমিকদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড,প্যান কার্ড দেখার পরেও তাঁদের বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ করেন পুলিশ আধিকারিকরা। এ দিকে, এই ঘটনায় চিন্তায় পড়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
বীরভূমের নলহাটি দু’নম্বর ব্লকের ভগলদিঘি গ্রামের বাসিন্দা আবদুল আলিম শেখ, আতাউর রহমান, সেলিম শেখ, মণিরুল ইসলাম, নুর আলম। প্রায় পঁচিশ বছর ধরে ওড়িশার আগরপাড়ার পারকুন্দায় শ্রমিকের কাজ করেন। গতকাল বিকেলে হঠাৎই তাঁদের ওড়িশার আগরপাড়া থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তারপর তাঁদের আটক করা হয়। সেখান থেকে পাঁচজনকেই ভদ্রকের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন ।
এদিকে আটক শ্রমিকদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দিয়েছেন BLO। পরিবারগুলির দাবি, আটকে থাকা পাঁচজনের নামই রয়েছে তালিকায়। কারোর নিজের নাম রয়েছে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় কারও আবার বাবার নাম রয়েছে সেখানে। এরপরও তাঁদের বাংলাদেশি সন্দেহে ওড়িশার পুলিশ আটক করে পাঁচজনকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রেখেছে। আটক শ্রমিকের আত্মীয় মাহবুদ আলম বলেন, “আমি দশ দিন আগে ওড়িশায় ছিলাম। আমাদের ডাকল পুলিশ। বলল তোরা বাংলাদেশি কি না দেখব। তারপরের দিন আধার নিয়ে গেলাম। দেখালাম। প্রথম বলেছিল ভেরিফাই হবে। তারপর দেখলাম ভেরিফাই হল না। আমাদের ক্যাম্পে রেখে দিল। বলল আমরা নাকি বাংলাদেশি।”