
বোলপুর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সোমবারই চিঠি পাঠিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। শান্তিনিকেতনের একটি রাস্তা, বর্তমানে পূর্ত দফতরের অধীনে রয়েছে। সেই রাস্তাটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন তিনি। সেই চিঠির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এবার বোলপুর থেকে নতুন চিঠি গেল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। ওই রাস্তাটি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে না দেওয়ার আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠি লেখা হয়েছে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি, কবিগুরু হস্তশিল্প সমিতি ও বোলপুর-শান্তিনিকেতনের প্রবীণ বাসিন্দাদের তরফে।
মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে তাঁদের বক্তব্য, এই রাস্তাটি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যদি ফিরে পায়, তাহলে অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে এলাকার বাসিন্দাদের। বিশ্বভারতীর তরফে চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, ওই রাস্তাটিতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তারা। রাস্তা দিয়ে গাড়ি যাতায়াতের ফলে যে কম্পন তৈরি হয়, তাতে আশ্রমের ভবনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। অথচ, শান্তিনিকেতনের প্রবীণ নাগরিকদের বক্তব্য, ওই রাস্তাটিতে পূর্ত দফতর থেকে আগেই ‘হাইট বার’ (উঁচু গাড়ির প্রবেশ আটকানোর জন্য ধাতব বার) বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই ‘হাইট বার’-এর ছবিও মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ, তাঁদের বক্তব্য ওই রাস্তায় ভারী গাড়ি ঢোকার সুযোগই নেই ‘হাইট বার’ থাকার কারণে।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন জায়গায় প্রাচীর তুলে দেওয়া ও গেট বসানোর বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে, সেই কথাও চিঠিতে লেখা হয়েছে। শান্তিনিকেতনের এক প্রবীণ নাগরিক জানাচ্ছেন, আগে যখন এই রাস্তাটি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের হাতে ছিল, তখন যখন-তখন রাস্তা আটকে দেওয়া হত। এখন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি ফিরে পেলে আবার সেরকম কিছু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসীদের একাংশ।