
কলকাতা: বদলি করা হল আইসি লিটন হালদারকে। বীরভূমের বোলপুর থেকে এবার সোজা তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হল জলপাইগুড়িতে। সেখানকার ডিআইবির ইন্সপেক্টর পদে যাচ্ছেন তিনি। বীরভূমের তৃণমূল নেতা তথা কোর কমিটির সদস্য অনুব্রত মণ্ডলের অডিয়ো-কাণ্ডের পর থেকেই দীর্ঘদিন চর্চায় ছিলেন বোলপুর থানার আইসি এই লিটন হালদার।
বুধবার রাতে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয় রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে। যেখানে দেখা যায় লিটন বাদ দিয়েও আরও একাধিক থানার আধিকারিকদের বদল করা হয়েছে এ দিক থেকে ও দিক। যেমন-সিউড়ির আইসি সঞ্চয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো হয়েছে হাওড়া জিআরপিতে। আর রামপুরহাট থানার আইসি সুকমল ঘোষকে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে বদলি করা হয়েছে৷ এ দিকে, সিউড়ি থানার দায়িত্বে এলেন পূর্ব বর্ধমান-এর সার্কেল ইনস্পেক্টর শৈলেন্দ্র উপাধ্যায় এবার সামলাবেন সিউড়ি থানা। আর রামপুরহাটের দায়িত্ব পড়েছে বীরভূম সাইবার ক্রাইম থানার আইসি সৌম্য দত্তের। তবে এখনও বোলপুরের কে দেখবেন তা জানানো হয়নি। অপরদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের আইসি (IC) সুজয় বিশ্বাসকে পাঠানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের আইবি-তে। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের সিআই সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন বসিরহাটে।
বস্তুত, তবে এতজনের বদিলর মধ্যে যে বিষয়টি নজর কেড়েছে সেটি হল লিটন হালদারের বদলি। বিরোধীদের বক্তব্য, যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে এই পুলিশ আধিকারিককে নোংরা ভাষায় কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছিল, সেই কেষ্টর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হল না উল্টে যাকে কটূক্তি করা হয়েছে তাঁকেই সরানো হল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জেল থেকে বেরনোর কয়েকদিন পর বোলপুর থানার এই আইসিকে ফোন করে গালাগালি করার অভিযোগ ওঠে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এমনকী, পুলিশ আধিকারিকের পরিবারের মহিলা সদস্যেরও কটু কথা বলেন কেষ্ট বলে অভিযোগ। সেই অডিয়ো ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর কেষ্টর অনুগামীদের দেখা যায়, বোলপুর থানা ঘেরাও করে আইসিকে সরানোর দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। তবে কেষ্ট যদিও বলেছিলেন আইসি লিটন হালদার কোথাও যাচ্ছে না। এরপর গতকালের নির্দেশিকা থেকে দেখা যায়, লিটন সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিককে একধাক্কায় রদবদল করা হয়েছে।