Kajal Sheikh: “ভাগ্য ভাল সেদিন অফিস বন্ধ ছিল, না হলে…”, বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ কাজলের

Kajal Sheikh: তাঁর কথায়, "তোমাদের বাবার ভাগ্য ভাল, সেদিন জেলা পরিষদের অফিস বন্ধ ছিল। না হলে তোমরা যখন মুখ্যমন্ত্রীর অবমাননা করেছিলে, ওই সময় যদি আমি অফিসে থাকতাম, তা হলে আমি বুকে লাথি মেরে হাড়গোড় ভেঙে দিতাম।"

Kajal Sheikh: ভাগ্য ভাল সেদিন অফিস বন্ধ ছিল, না হলে..., বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ কাজলের
কাজল শেখImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Aug 05, 2025 | 9:57 AM

বীরভূম: সোমবার বীরভূমে ধিক্কার মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন কোর কমিটির আহ্বায়ক অনুব্রত মণ্ডল। গোটা বীরভূম জুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবমাননা ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নেমেছিল তৃণমূল শিবির। মিছিল নিয়ে বেরতে দেখা যায় কাজল শেখকেও। আর সেই মিছিল থেকেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপতি।

বুকে লাথি মেরে হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ার নিদান শোনা যায় কাজলের মুখে। তাঁর কথায়, “তোমাদের বাবার ভাগ্য ভাল সেদিন জেলা পরিষদের অফিস বন্ধ ছিল। না হলে তোমরা যখন মুখ্যমন্ত্রীর অবমাননা করছিলে, ওই সময় যদি আমি অফিসে থাকতাম, তা হলে আমি বুকে লাথি মেরে হাড়গোড় ভেঙে দিতাম।”

তাঁর সংযোজন, “যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মী ভান্ডারের পরিষেবা তোমাদের বাড়ির মা-বোনেরা নিচ্ছে। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক প্রকল্প মানুষের হাতে এত পরিষেবা তুলে দিয়েছে। আর তাঁকেই তোমরা (বিজেপি) কালিমালিপ্ত করবে। এটা আমরা মেনে নেব না।”

কিন্তু কোথা থেকে এই বিতর্কের জন্ম? গোটা ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। সেদিন তিলপাড়া ব্যারেজের রক্ষণাবেক্ষণের অভাব নিয়ে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে বিজেপি। মিছিল করে সিউড়ি প্রশাসনিক ভবনে ডেপুটেশন জমা দিতে যায় তারা। অভিযোগ, সেই ডেপুটেশন জমা দিতে যাওয়ার পথেই মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টারকে কালিমালিপ্ত করেন বিজেপি কর্মীরা। যাতে বেজায় চটে যায় শাসক শিবির। সরব হন ‘বীরভূমের বাঘও’।

শনিবারই কেষ্ট বলেন, “আমরাও আগে বিরোধী ছিলাম। কখনও কারওর ছবিতে কালি লাগাইনি। বিজেপির ছবিতেও কালি লাগাই না। এটা ভদ্রতা নয়।” এরপরেই রবিবার কোর কমিটির বৈঠক থেকে ধিক্কার মিছিলের ডাক দেন তিনি। তবে কাজলের এই নিদানকে কেন্দ্র করে এবার আসরে নেমেছে গেরুয়া শিবির। এদিন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, “কাজল-অনুব্রতদের ভাষা এটাই। আমরা তিলপাড়া ব্যারেজ নিয়ে যখন আন্দোলন করছিলাম, তখন আমাদের উপরেই হামলা হল। পরদিন আমাদের কর্মীদেরই পুলিশ গ্রেফতার করল। তৃণমূলের পুলিশ-নেতা, বীরভূমের বিশেষ করে হলে এরকম ভাষাতেই কথা বলবে।”