
বীরভূম: বলিউডের বিখ্যাত ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার সঙ্গে মিল রয়েছে। আবার পুরোটা মিলও নেই। বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্ত্রী। তাই, নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দিলেন এক যুবক। ঘটনাটি বীরভূমের সাঁইথিয়ার। নিজে স্ত্রীর হাত তুলে দিলেন বন্ধুর হাতে। তবে এতে দুঃখিত নন তিনি। তার কারণও নিজেই জানালেন সাঁইথিয়ার বাপি মণ্ডল।
সাঁইথিয়া পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাপি মণ্ডল। বছর আটে আগে বিয়ে করেন। তাঁদের সাত বছরের ছেলে রয়েছে। বাপির বন্ধু জিৎকুমার মিদ্দার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বাপির স্ত্রীর। বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারেননি বাপি। পরে তাঁর বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এদিন একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর বিয়ে দিলেন বাপি। মাস আটেক আগে পারিবারিক অশান্তির সময় বাপির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেই মামলা তুলে নেবেন বলে জানিয়েছেন বাপির স্ত্রী থুড়ি জিৎকুমারের স্ত্রী।
স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর বিয়ে দিয়ে বাপি বললেন, “আমার বিয়ে হয়েছিল ২০১৭ সালে। আমার সাত বছরের একটা ছেলে আছে। আট মাস আগে একটা মামলা হয়। আমার বউ তার বাপের বাড়ি চলে যায়। আমার কাছে রয়েছে ছেলে। তিন দিন আগে জানতে পারি, আমার স্ত্রী আমাকে ডিভোর্স দেবে। আমার সঙ্গে সংসার করবে না। আমি শ্বশুরবাড়ি যাই। শ্বশুর-শাশুড়ি জানায়, মেয়ের সিদ্ধান্তে তারা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। তখন আমি জানাই, আমি যদি ধরতে পারি, বিয়ে দিয়ে দেব। আজ সকালে দু’জনকে বাইপাসের ধারে ধরি। তারপর মন্দিরে নিয়ে এসে বিয়ে দিই। সেখান থেকে থানায় নিয়ে যাই। পুলিশ জানায়, আমার স্ত্রী যেহেতু নাবালিকা নয়, ফলে সে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমার বিরুদ্ধে বউ যে মামলা করেছিল, সেটা তুলে নেবে বলেছে। ছেলে আমার কাছেই থাকবে। স্ত্রী বলেছে, ছেলের দায়িত্ব সে নেবে না।”
বাপি মণ্ডল
বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কের কথা কখন জানতে পারেন তিনি? বাপি বলেন, “আমার বউ বন্ধুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু, আমি জানতাম না। আমার বউ যখন বলল আমাকে ডিভোর্স দেবে, তখন জানতে পারি।” স্ত্রীর হাত বন্ধুর হাতে তুলে দিয়েও কোনও দুঃখ নেই বাপির। বললেন, “বন্ধুর হাতে তুলে দিলাম। আমি খুশি। ও সুখে সংসার করুক। আমার ছেলে আমার কাছে থাকলেই আমি খুশি।”