বীরভূম: অবশেষে উদ্ধার হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ পড়ুয়া। ওড়িশার তালসারি থেকে মায়ানমারের বাসিন্দা পান্নাকারা থাইকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় বোলপুর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার বারো জন। এ দের মধ্যে দুবরাজপুরের তিনজন আগেই গ্রেফতার হয়েছিল। তাদেরকে জেরা করে বাকি ন’জনের কথা জানতে পারে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নানুরের বাসিন্দা ও বাকি আটজনের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের ফোন ট্যাপ করে ও এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে ওড়িশার তালসারিতে পান্নাকারাকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এরপর আজ তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে ওই বিদেশী পড়ুয়াকে উদ্ধার করে পুলিশ।
কী ঘটেছে?
গত বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ছাত্র পান্নাকারা থাই নিখোঁজ হয়ে যান। খবর জানার পরই বোলপুর থানায় ওই পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ ডায়রি করেন। ঘটনার তদন্তে নামে বোলপুর থানার পুলিশ। প্রথমে আধিকারিকরা এলাকাবাসীর কাছ জানতে পারেন একটি গাড়িতে করে ওই যুবককে কয়েকজন উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর লাগাতার খোঁজাখুঁজি করতেই আজারুদ্দিন মির্ধা, শেখ আলাউদ্দিন ও আতাউল্লা শেখ নামে দুবরাজপুরের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, পান্নাকারা চুলের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মায়ানমার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে চুল যেত চিনে। সেখানকার যে এজেন্টরা রয়েছেন তাঁরা এই পড়ুয়ার কাছ থেকে ছ’কোটি টাকা পেতেন। জানা গিয়েছে, ৬ কোটি টাকার মধ্যে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন পান্নাকারা। বাকি রয়েছে আরও ৫০ লক্ষ টাকা। পুলিশের অনুমান, বাকি টাকা না পাওয়ার কারণেই যুবককে অপহরণ করা হয়েছে।