
বীরভূম: বৌমার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দিয়েছিলেন। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা পেয়েই শ্বশুরকে খুনের অভিযোগ উঠল বৌমার বিরুদ্ধে। এমনকি, প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতদেহ মাটিতে পুঁতেও দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃত ব্যক্তির নাম তামাল বাগদি। ঘটনাটি বীরভূমের মল্লারপুর থানার রাতমা গ্রামের।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তামাল বাগদির বৌমা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। শ্বশুর তার প্রতিবাদ করলে অশান্তি হয় বৌমার সঙ্গে। অশান্তির জেরে কিছুদিন আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে সিউড়িতে বাবার বাড়ি চলে যান বউমা।
রবিবার তামাল বাগদি বাড়ি থেকে বেরিয়ে চাষের কাজে জমি দেখতে গিয়ে আর ফেরেননি। এরপর সারারাত খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। এদিন বিকেলে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি পুকুরের পাড়ে মাটি চাপা দেখে সন্দেহ হয়। মাটি সরাতেই মৃতদেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মল্লারপুর থানার পুলিশ মাটি খুঁড়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় স্থানীয় তিন যুবকের পাশাপাশি বৌমার বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন মৃত তামালের স্ত্রী। পুলিশ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে। তামালের স্ত্রী শুশনি বাগদির দাবি, বৌমার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে প্রতিবাদ করায় তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে। ছেলে মাস ছয়েক আগে গ্রামেরই এক বধূকে নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায়। তারপর বৌমা গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। দিন পনেরো আগে তাঁদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় বলে অভিযোগ। তারপর থেকে বৌমা বাপের বাড়িতে রয়েছেন। শুশনি বলেন, “বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে আপত্তি করায় গ্রামের দু’জনের যোগসাজশে বৌমাই আমার স্বামীকে খুন করিয়েছে।”