রামপুরহাট: ২২ সালের মার্চ। কেঁপে উঠেছিল গোটা বাংলা। নাড়িয়ে দিয়েছিল ছোট্ট একটা নাম। বগটুই। এক রাতেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় এক নাবালিকা একেবারে ১০ জনের। গণহত্যার সেই ঘটনা শোরগোল ফেলে দেয় গোটা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। এরইমধ্যে এবার মেয়ের বিয়ের জন্য শর্ত সাপেক্ষে পেরোলে সাত দিনের জন্য ‘মুক্তি’ পেলেন বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেন। এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর শর্ত সাপেক্ষে প্যারোলে জামিন মঞ্জুর হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় খুন হন তৃণমূল কংগ্রেসের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান ভাদু শেখ। যা নিয়ে উত্তেজনার আবহে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটে ওইদিন রাতেই। সেই রাতেই গণহত্যার ঘটনা ঘটে রামপুরহাট থানার বগটুই গ্রামে। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় নাবালিকা-সহ ১০ জনের। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্যে। জোরকদমে তদন্ত শুরু করে এসটিএফ।
গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের রামপুরহাট -১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন-সহ প্রায় ৩৪ জনকে। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ওই সময় থেকেই জেলবন্দী রয়েছেন আনারুল সহ বাকিরা। এদিকে আগামী ২৪ নভেম্বর বিয়ে হতে চলেছে আনারুলের একমাত্র মেয়ে মমতাজের। সেই বিয়েতে থাকতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আনারুল। আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই সাতদিনের শর্তসাপেক্ষে প্যারোলে জামিন মঞ্জুর করেছে রাজ্যের শীর্ষ আদালত।