
সিউড়ি: দুর্গাপুজো হোক বা কালীপুজো, বারংবার চাঁদা তোলা নিয়ে অশান্তি দেখা দেয়। কখনও একাংশ ক্লাবগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে বাড়িতে গিয়ে হেনস্থা করছে, কখনও বা অভিযোগ ওঠে বেশি বেশি চাঁদা চাইছে। আর এবার রাস্তায় কালীপুজোয় চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে বীরভূমের সিউড়িতে সেনা কর্মী ও তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। ঘটনায় আটক এক অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের দুবরাজপুর থেকে সন্তানকে ডাক্তার দেখানোর জন্য সিউড়ি আসছিলেন ওই সেনা কর্মী ও তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, সিউড়ির বড় বাগানের কাছে সেই সময় রাস্তা আটকায় দশ থেকে বারো জন। এরপর কালীপুজোর চাঁদা চান তাঁরা। সেই সেনা কর্মী জানান, তাঁরা ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছেন। একটু তাড়াহুড়োর মধ্যে আছেন। ডাক্তার দেখিয়ে এই রাস্তাটা দিয়েই ফেরত যাবেন। তখন চাঁদা দেবেন।
অভিযোগ, বিষয়টি শুনেও রাজি হয়নি এলাকার যুবকরা। এরপর বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। অভিযোগ সেনা কর্মীকে রাস্তায় ফেলে ১০ থেকে ১২ জন বেধড়ক মারধর করে এমনটাই অভিযোগ। মারধর করা হয়েছে ওই সেনা কর্মী স্ত্রী কেও। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যাই সিউড়ি থানার পুলিশ এবং উদ্ধার করে তাদের। ঘটনাস্থল থেকে একজন যুবককে আটক করে সিউড়ি থানা পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহত সেনার স্ত্রী বলেন, “সন্তানকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কয়েকজন ছেলে বলল চাঁদা দাও। তখন আমরা জানালাম ফেরার পথে চাঁদা দিয়ে দেব। আমার স্বামীকে তারপর ধরে নিয়ে গিয়ে ১০ থেকে ১২ জন মিলে মেরেছে। আমার ফোন ভেঙে গিয়েছে। ওরা আমার বাচ্চাকেও মেরে ফেলার প্ল্যানে ছিল।”