বীরভূম: আশঙ্কা ছিলই। তাই যেন সত্যি হতে শুরু করল ভোট শুরু হতে না হতেই। বোলপুুর থেকে বীরভূম, সকাল থেকেই লাগাতার এল অশান্তির খবর। সিংহভাগ অভিযোগই আবার বাংলার শাসকদলের বিরুদ্ধে। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নানুর বিধানসভার আট গ্রাম প্রাইমারি বিদ্যালয় ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে সিউড়ি এলাকায় বিজেপির অস্থায়ী শিবির ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধেই।
সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হতে না হতেই নানুর বিধানসভা এলাকায় পেঙ্গা প্রাইমারি স্কুলে অশান্তির ছবি সামনে এসেছে। দেদার ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছো ভোটারদের মারধরের। বিজেপি এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। বিজেপির অভিযোগ, ভোটারদের ভয় দেখাতে অস্ত্র নিয়ে বুথ চত্বরে ঘুরছেন তৃণমূল কর্মীরা।
কার্যত একই ছবি দেখা গিয়েছে বীরভূমের খয়রাশোলে। খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানার বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকটা বুথে কোথাও ভোটের এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ আবার কোথাও ভোটের এজেন্টের সই না মেলায় বুথ থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির। বেশিরভাগ জায়গাতেই অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিছু জায়গায় আবার প্রিসাইডিং অফিসারদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে।
অশান্তির থবি দেখা গিয়েছে নানুর বিধানসভা সাওতা গ্রামে। এই এলাকাটি বোলপুর লোকসভার অধীনে। বিজেপির এজেন্ট প্রত্যাহার করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভোটের শুরুতেই আবার সিউড়ি পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাটজান বাজার এলাকায় বিজেপির অস্থায়ী ক্যাম্প ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ করল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ নানুরের পাপুরি গ্রামে তার ভোটদান কেন্দ্রে সপরিবারে ভোট দিলেন। মাঠে নেমেছেন শতাব্দী রায়ও। যদিও শতাব্দীর দাবি ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।