Anubrata and Kajal Seikh: বিছানায় কেষ্ট, মাঠে কাজল, গোপনে-গোপনে খেলা ঘুরে যাচ্ছে বীরভূমে?

Birbhum: এরপর গত শুক্রবার বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে অনুব্রতর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে দল তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে ক্ষমা চাইলেও থানায় একবারও হাজিরা দেননি কেষ্ট।

Anubrata and Kajal Seikh: বিছানায় কেষ্ট, মাঠে কাজল, গোপনে-গোপনে  খেলা ঘুরে যাচ্ছে বীরভূমে?
অসুস্থ কেষ্ট, বাঁদিকে কাজল শেখImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 04, 2025 | 4:41 PM

সাঁইথিয়া: পুলিশকে গালিগালাজ করার অভিযোগ। তারপর থানায় হাজিরা না দেওয়া। পরবর্তীতে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে আপাতত গৃহবন্দি রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য অনুব্রত মণ্ডল। এ দিকে অনুব্রত যখন ঘরে সেই সময় আবার তৃণমূলের অপর কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ স্বমহিমায় ফিরছেন। তবে কি খেলা ঘুরছে বীরভূমে? এই আবহে জানা যাচ্ছে,সাঁইথিয়ার বেশ কয়েকজন অনুগামী দেখা করেন কাজলের সঙ্গে। আর এবার থেকে কেষ্ট নয় কাজল শেখের সঙ্গে কাজ করবেন বলে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লিষকদের একাংশ কার্যত মজা করে বলছেন, এ যেন দলের মধ্যেই দল বদল।

বস্তুত,রাঙামাটির জেলায় কাজল-অনুব্রত দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। তিহাড় থেকে ফিরে আসার পর প্রকাশ্যে মুখে কেউ একে অপরের নাম না করলেও, এই দুই তৃণমূল নেতার আচরণ সেটা বারেবারে বুঝিয়ে দিয়েছে। গতবছরের দুর্গাপুজোর পরপর বিজয়া সম্মিলনীগুলিতে অনুব্রত আর কাজলকে এক মঞ্চে দেখা যায়নি। যদিও এই প্রসঙ্গ তাঁরা এড়িয়েছেন একাধিকবার।

এরপর গত শুক্রবার বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে অনুব্রতর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে দল তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে ক্ষমা চাইলেও থানায় একবারও হাজিরা দেননি কেষ্ট। তার বদলে শারীরিক অসুস্থতার করা উল্লেখ করে গৃহবন্দি হয়ে যান তিনি। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার দেখা যায় স্বমহিমায় মিছিল করছেন সভাধিপতি কাজল শেখ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে উঠছে স্লোগান। সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন কেষ্ট যখন নিচুপট্টির বাড়িতে আটকে, সেই সময় খোশমেজাজে ফের কাজল।

এরপর আজ দেখা গেল সাঁইথিয়া ব্লকের বনগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের একাংশ সহ তৃণমূল নেতৃত্ব কাজল শেখের সঙ্গে দেখা করেন। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ বৈঠক করেন তাঁরা। বনগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তুষার মণ্ডলের দাবি, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী ছিলেন। কিন্তু একাধিক বিষয় নিয়ে গিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই তাঁরা জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের সঙ্গে দেখা করেন। বনগ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন কাজল শেখ। তুষারকান্তি মণ্ডল বলেন, “আমি কেষ্টদার অনুগামী ছিলাম। বিগত একমাস থেকে পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে গিয়েছি কেষ্টদার কাছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি। অপদস্ত হয়েছি। তাই আমরা ঠিক করেছি এবার আমরা কাজলের অনুগামী হয়েই লড়ব।”  তিনি বলেন, “আমাদের সবার উচিত নিজেদের অনুগামী তৈরি না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী তৈরি করা।” যদিও, কাজল বলেছেন তাঁদের নিজেদের মধ্যে কোনও বিভাজন নেই।