
বীরভূম: নির্বাচনের আগে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বার্তা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কোনও রকম কোন্দল বরদাস্থ করা হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন দলের উচ্চ নেতৃত্ব। এবার সেই একই সুর সাংসদ শতাব্দী রায়ের গলায়। ভোটে দলের বিরোধিতা করলে ছিটকে যেতে হবে বলেও হুংকার দেন তিনি।
রবিবার বীরভূমের সাঁইথিয়ায় একটি ব্লক ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন করেন তৃণমূল সাংসদ। সেখানে কার্যত রনংদেহী ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে। দলের অন্দরের ঝামেলার কথা স্বীকার করে নেন তিনি। তারপরই হুংকার দেন শতাব্দী। স্পষ্ট নেতা কর্মীদের জানান কোনও রকম গোষ্ঠী কোন্দল বরদাস্থ করা হবে না।
এ দিন সাংসদ বলেন, “ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া হয়। তবে বাইরের লোক যখন একজন ভাইকে মারতে আসে সেই সময় অন্যজন রক্ষা করে। সেই রকমই দলের ভিতরেও পালন করতে হবে। দ্বন্দ্ব ছিল, আছে, হয়ত থাকবে। তবে নির্বাচনে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। তাই কোনও গ্রুপবাজি করে লাভ নেই। কারণ এই সব করে যদি দলের খারাপ হয়, তাহলে আপনারও খারাপ হবে।
এছাড়াও এ দিন, দলছুট হওয়ার মানে বোঝান শতাব্দী। তিনি বলেন, “কেউ হয়ত ভাবলেন বিদ্রোহ করবেন। এত কিন্তু দলের কোনও ক্ষতি হবে না। সাংসদ জিতবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন, কিন্তু দলছুট হয়ে পড়বেন আপনি।” অর্থাৎ শতাব্দী স্পষ্ঠ বলেছেন, “ভোটের সময় কেও যদি ভোট না করেন, বিরোধিতা করেন তাহলে ছিটকে যেতে হবে।”
প্রসঙ্গত, বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডল আপাতত জেলে। বীরভূমের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, কেষ্ট তিহাড় যেতেই ধীরে ধীরে ক্ষমতা বেড়েছে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত কাজল শেখ ও তাঁর অনুগামীদের। সদ্য, আবার রদ বদল হয়েছে জেলায়। বেশ কয়েকজন ব্লক সভাপতিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ব্লকে কোর কমিটিও গঠন করা হয়েছে। লোকসভার কথা মাথায় রেখেই এই রদবদল বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে যাতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ না বাড়ে সেদিকেই নজর রাখতে চাইছে দলের উচ্চ-নেতৃত্ব বলে খবর।