Visva-Bharati University: বিশ্বভারতীতে ‘বিশ্ব রেকর্ড’? পড়ুয়াদের একশোয় নম্বর দেওয়া হয়েছে ৩৬৭, ১৯৬, ১৫১…
Visva-Bharati : সোমবার সন্ধেয় বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েব সাইটে এম এড-এর ফল প্রকাশ পায়। সেই রেজ়াল্ট দেখেই চক্ষু চড়কগাছ হয় পড়ুয়াদের।
শান্তিনিকেতন: বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বিশ্বভারতীর। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জড়ালো নম্বর বিভ্রাটে। এমএড-এর মেধাতালিকা প্রকাশ হতেই চরম বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। দেখা যায় নম্বর তালিকায় ১০০ মধ্যে কেউ পেয়েছেন ১৯৮, কাউকে আবার দেওয়া হয়েছে ১৫১।
সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধেয় বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েব সাইটে এম এড-এর ফল প্রকাশ পায়। সেই রেজ়াল্ট দেখেই চক্ষু চড়কগাছ হয় পড়ুয়াদের। বিভ্রান্তিতে পড়েন ছাত্র-ছাত্রীরা। ১০০ মধ্যে কেউ পেয়েছে ২০০, কেউবা ১৯৮, আবার কেউ ১৫১। কর্তৃপক্ষের এই চরম গাফিলতি দেখে হতবাক সকলেই। কীভাবে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। যদিও এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর কর্তৃপক্ষের কাছে পাওয়া যায়নি।
এবছর বিনয় ভবনে এম এডে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর। ৫০ আসনে পরীক্ষার জন্য বিশ্বভারতীর আভ্যন্তরীণ ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এই পরীক্ষা দেন। এরমধ্যে ২৫ টি অভ্যন্তরীণ ও ২৫ টি আসন বহিরাগতদের জন্য সংরক্ষিত। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত ও ৪০ নম্বর অ্যাক্যাডেমিক স্কোরের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। পরীক্ষার পর মেধা তালিকার ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু সেখানে দেখা যাচ্ছে ল্যাঙ্গুয়েজ গ্রুপে দুই পড়ুয়া ১০০ এর মধ্যে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০০ দশমিক ২৮ ও ১৯৮,৩৮৫। এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগে দুই পড়ুয়া পেয়েছেন যথাক্রমে ১৯৬,৩৬৭ ও ১৫১,২৭৫। ১০০ মধ্যে কীভাবে পরীক্ষার্থীরা ২০০ বা ১৫০ পেলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন?
পাশাপাশি পড়ুয়াদের অভিযোগ আভ্যন্তরীণ আসনেও বেশকিছু বহিরাগত অর্থাৎ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের নাম উল্লেখিত রয়েছে মেধাতালিকায়। ফলে চূড়ান্ত বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এমন দায়িত্বহীনতার কাজ কীভাবে করলো? ইতিমধ্যেই দ্রুত এই মেরিড লিস্ট বদল করার দাবি তুলছেন অনেক ছাত্ররা।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৭ অগস্ট বিশ্বভারতীতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তিন ছাত্রকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্র ছাত্রীদের একাংশ। যা ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে থাকে রবি-তীর্থের পরিস্থিতি। ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ এবং রূপা চক্রবর্তীকে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি, পদার্থ বিজ্ঞানের দুই অধ্যাপক পীযুষকান্তি ঘোষ ও অরণি চক্রবর্তীকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড করে বিশ্বভারতী। আচমকা এই সাসপেনশন ও পড়ুয়াদের বরখাস্তের নোটিসে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের একাংশ। সেই ইস্যুই গড়ায় আদালত অবধি। সেই মামলার শুনানিতে আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথা বলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। দু’সপ্তাহের জন্য মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Visva Bharati: বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ! থানায় গেল যৌথ মঞ্চ