Visva Bharati: বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ! থানায় গেল যৌথ মঞ্চ
Visva Bharati VC: শান্তিনিকেতন থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি করা হয় তাদের পক্ষ থেকে।
শান্তিনিকেতন: শান্তিনিকেতনের ‘শান্তি’ যেন কিছুতেই ফিরছে না। খবরে ফের বিশ্বভারতী। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্বেও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। এর জেরে এবার শান্তিনিকেতন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করল বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ।
গত কয়েকদিন ধরে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও রয়েছে। এছাড়াও পৌষ মেলার সময় সিকিউরিটি মানি হিসেবে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। এরপরও কেন কোনও পদক্ষেপ করছে না প্রশাসন? এই অভিযোগ তোলে বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই, এদিন শান্তিনিকেতন থানার সামনে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। পরে শান্তিনিকেতন থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি করা হয় তাদের পক্ষ থেকে।
বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চের তরফে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ও ব্যবসায়ী আমিনুল হুদা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মেলায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া সিকিউরিটি মানি ফেরত দেয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির সহ একাধিক অভিযোগও রয়েছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। সেই কারণেই আমরা আজ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিলাম।” এরপর বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ” পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে এবারও যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, গণআন্দোলন গড়ে তুলে বিশ্বভারতীতে আবারো বিক্ষোভ দেখানো হবে।”
বিষয়টি নিয়ে TV9 বাংলা বিশ্বভারতীর উপাচার্য এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত মাসের ২৭ তারিখ থেকে বিশ্বভারতীর তিন ছাত্রকে বহিষ্কার করার প্রতিবাদে আচার্যের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। সেই সময়ই তাদের আন্দোলনকে সমর্থন করে শান্তিনিকেতন প্রিয় বহু মানুষ। সেই সময় গড়ে ওঠে বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ। উপাচার্যকে সরানোর দাবি তুলতে থাকে তারা। সেই দাবিতে অনড় থাকেন বিক্ষোভকারীরা। যৌথ মঞ্চের তরফে একাধিক অভিযোগ তুলে চিঠি দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই চিঠিতে তারা, উপাচার্যের নানান দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের দাবি, উপাচার্য একের পর এক অনৈতিক কাজ করে চলেছেন। তাই তারা অপসারণের দাবি তুলছেন। পরে যৌথ মঞ্চের তরফে একটি বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী দিনে কোন পথে এগোবে আন্দোলন। স্পষ্ট বার্তা, উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে তাদের আন্দোলন চলবে। তাদের আরও অভিযোগ, বিশ্বভারতীকে আদালতের নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনও বহিস্কৃত ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি।
সেই সময় যৌথ মঞ্চের তরফে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন,বিশ্বভারতীর মেলা মাঠ বাঁচাও কমিটি সহ, আশ্রমিক অধ্যাপক সকলের বিরুদ্ধে উপাচার্য যে একের পর এক অনৈতিক কাজ করে চলেছেন তার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চলেছে।
আরও পড়ুন: Visva Bharati: সরাতে হবে উপাচার্যকে, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি আন্দোলনকারীদের