Visva Bharati University: ‘বৌ-এর কথা শোনেন খালি’, ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বিশ্বভারতীর দোকানঘর

Santinekatan: ব্যবসায়ীদের দুর্গাপুজোর আগে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট নোটিসে স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল, যাতে তারা সেখান থেকে উঠে যান। যদিও, নিজেদের দোকানগুলি সেখান থেকে সরিয়ে নেয়নি ব্যবসায়ীরা। এরপর আজ অর্থাৎ বুধবার সেই দোকানগুলিকে ভেঙে ফেলা হল বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে।

Visva Bharati University: বৌ-এর কথা শোনেন খালি, ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বিশ্বভারতীর দোকানঘর
ভিসি-র উপর ক্ষুব্ধ দোকানদার Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 22, 2025 | 4:45 PM

শান্তিনিকেতন: নোটিস আগেই দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার খালি করা হয়েছে। বুধবার খালি করা হল ‘বিশ্বভারতীর ইন্টারন্যাশনাল গেস্ট হাউস’ থেকে দমকলের অফিস পর্যন্ত রাস্তা। এই রাস্তার ওপর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। তাঁদেরই উঠিয়ে দেওয়া হল আজ।

ব্যবসায়ীদের দুর্গাপুজোর আগে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট নোটিসে স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল, যাতে তারা সেখান থেকে উঠে যান। যদিও, নিজেদের দোকানগুলি সেখান থেকে সরিয়ে নেয়নি ব্যবসায়ীরা। এরপর আজ অর্থাৎ বুধবার সেই দোকানগুলিকে ভেঙে ফেলা হল বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে। বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা সরিয়ে দিল দোকানগুলিকে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। তাঁরা কোনও যানজট করেন না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন। তারপরও এই ধরনের কাজ করা উচিত হয়নি উপাচার্যের। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন আগেই নোটিস দেওয়া হয়েছিল সে কারণেই সরানো হল। ক্ষুব্ধ দোকানদার বিশ্বনাথ সাউ বলেন, “আমাদের দোকান ভেঙে দিয়েছে। এর আগেও তো ভিসি ছিল। তাঁরা তো এমন করেননি। আমার ছেলের হার্টের অসুখ আছে। সদ্য অপারেশন করছি। বিদ্যুত চক্রবর্তী ভালই ছিলেন। নতুন ভিসি গরিব দেখতে পারেন না। বৌ-এর কথা শুনে চলেন। ওর বৌ ইশারা করে যা বলেন, উনি সেইটা করেন। প্রতিমাসে আমার পাঁচ হাজার টাকা করে লাগে। ওঁর কি বিবেক নেই? উনি কী পড়াশোনা করেছেন? গরিব লোককে তাড়াতে বলে?”