‘নরেন ও নরেন…’ ‘দিদি ও দিদি’র পাল্টা দিলেন অনুব্রত
তৃণমূলত্যাগী বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করে অনুব্রত (Anubrata Mandal) বলেন তিনি কোনও নেতা নন। তৃণমূলের একজন সাধারণ কর্মী। কারণ, নেতা হলেই মমতার সঙ্গে বেইমানি করতেন। দল ছেড়ে পালাতেন।
মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার বাজারে জনসভা করেন অনুব্রত। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘দিদি ও দিদি’ শব্দবন্ধকে প্রবল কটাক্ষ করে বলেন, “আমি যদি প্রধানমন্ত্রীকে বলি, নরেন ও নরেন… তাহলে মানুষ আমাকে কি ভাল বলবে?” একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর মুখে এ কী ভাষা! কোনও ভাষাজ্ঞান নেই। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর এ ভাষায় কথা বলে উচিত না বলে মন্তব্য করেন ‘দিদি’র প্রিয় কেষ্ট।
এদিন জনসভায় অনুব্রত আরও বলেন, “একজন মহিলাকে প্রধানমন্ত্রী ব্যঙ্গ করে ‘দিদি ও দিদি’ বলছেন! লজ্জা লাগা দরকার।” তাঁর অভিযোগ, কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করেন না প্রধানমন্ত্রী। দেশের জন্য আজ অবধি কোনও ভাল কাজ করেনি মোদী, দাবি অনুব্রতর। তাঁর খোঁচা, এবার গদি না ছাড়লে, ছারপোকা দিয়ে গদি ছাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, “তুমি পকেট ভরে মিথ্যা কথা নিয়ে আসো। আর মমতা আঁচল ভরে উন্নয়ন দিয়ে যায়।”
বিজেপিকে কটাক্ষ করে অনুব্রতর মন্তব্য, “আমাদের বাইরে থেকে লোক আনতে হয় না। অন্য জেলা, বিধানসভা থেকেও আমাদের লোক আনতে হয় না।” পাশাপাশি তৃণমূলত্যাগী বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করে অনুব্রত জানান তিনি কোনও নেতা নন। তৃণমূলের একজন সাধারণ কর্মী। কারণ, নেতা হলেই মমতার সঙ্গে বেইমানি করতেন। দল ছেড়ে পালাতেন।
আরও পড়ুন: মোদীর সভায় গিয়ে পদ্মে ভোট দিলেই মিলছে কড়কড়ে ১০০০ টাকা! বিস্ফোরক দাবি তৃণমূলের
ভাতারের সভা থেকে আবারও খেলা হবে স্লোগান দেন অনুব্রত। বলেন, ‘বারবার খেলা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস খেলবে, বিজেপি মাঠের বাইরে চলে যাবে।’ ফের অনুব্রতর দাবি, একুশের ভোটে ২৩০ আসন পাবে তৃণমূল।