Anubrata Mondal: ‘এর থেকে গাঁজা কেস দিতে পারত’, অনুব্রতর গ্রেফতারি নিয়ে খোঁচা সজল-সেলিমের

Anubrata Mondal: দুবরাজপুর থানার পুলিশের হাতে মঙ্গলবার সকালেই গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। নিয়ে যাওয়া হয় দুবরাজপুর আদালতে।

Anubrata Mondal: 'এর থেকে গাঁজা কেস দিতে পারত', অনুব্রতর গ্রেফতারি নিয়ে খোঁচা সজল-সেলিমের
অনুব্রত মামলায় কটাক্ষ বাম বিজেপির। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2022 | 1:07 PM

কলকাতা: মঙ্গলবার সকালে অনুব্রতকাণ্ডে নাটকীয় মোড়। ২৪ ঘণ্টা আগেই দিল্লির বিশেষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ইডি কেষ্টকে নিয়ে দিল্লি যেতে পারে। সূত্রের খবর, সেইমতো প্রস্তুতিও শুরু করেছিল ইডি। এরইমধ্যে মঙ্গলবার সকাল আসানসোলের বিশেষ আদালত থেকে অনুব্রতকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। কেন এই গ্রেফতারি? ২০২১ সালে এক তৃণমূল কর্মীকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করেছেন অনুব্রত, এই মর্মে সোমবার দুবরাজপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অনুব্রতর এই গ্রেফতারি নিয়ে একযোগে সরব হয়েছে বাম-বিজেপি। দিল্লিযাত্রা রুখতে অনুব্রতর এই কৌশল বলে তোপ দেগেছেন মহম্মদ সেলিম, সজল ঘোষরা। যদিও পাল্টা বীরভূম তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এভাবে সরলীকরণ করা ঠিক হবে না।

দুবরাজপুর থানার পুলিশের হাতে মঙ্গলবার সকালেই গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। নিয়ে যাওয়া হয় দুবরাজপুর আদালতে। আদালত তাঁকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এরপরই আদালত থেকে অনুব্রতকে নিয়ে গাড়ি পৌঁছয় দুবরাজপুর থানায়। এ প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “যেখানে পুলিশের কাজ অপরাধীকে ধরা, রাজ্য পুলিশ অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। অনুব্রতকে যাতে ইডি দিল্লি না নিয়ে যেতে পারে তার জন্য এসব। অনুব্রত নাকি তৃণমূলের নেতার গলা টিপে মারার চেষ্টা করেছিলেন এক বছর আগে। সেই কেস এখন সামনে এনে এসব বলছে।”

সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “এরা দুর্নীতির এতটাই গভীরে পৌঁছে গিয়েছে, যেকোনও তদন্তকেই ভয় পাচ্ছে। যে চেষ্টা এরা করছে, তা যেকোনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে হাস্যকর বলে মনে হবে। যে মামলায় তাঁকে তোলা হচ্ছে, তার কোনও গুরুত্ব আছে কি না, কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ আছে কি না এসব তো বিচার করতে হবে।”

যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এত বোকা বোকা খেলা হাসি পায়। এতো খুনের মামলা বা গাঁজা মামলা দিলে তাও আটকাতে পারত। এই কেসে তো কোর্ট জামিন দিয়ে পাঠিয়ে দেবে। কত ভয় একটা সরকারের সেটাই দেখছি। অনুব্রত মুখ খুললে শুধু অনুব্রত নয়, তার মেন্টররাও জেলে যাবে। তাই নিজেদের বাঁচাতে একটা বোকা বোকা প্রয়াস।”