
বীরভূম: গত ৬ ফেব্রুয়ারি মাড়গ্রামে বোমাবাজির (Margram Bombing) অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় দু’জনের মৃত্যুও হয়। আর সেই ঘটনায় নাম জড়ায় সুজাউদ্দিন শেখ নামে এক ব্যক্তির। এবার সেই সুজাউদ্দিনের বাড়ি থেকে ব্যাগভর্তি বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার সুজাউদ্দিনের বাড়ির একটি লেবু গাছের তলা থেকে প্রচুর তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। এদিন মাড়গ্রাম থানার পুলিশ তাঁর বাড়ির বাগানে বোমাগুলি দেখতে পায়। তিনটি নাইলনের ব্যাগের মধ্যে বোমাগুলি রাখা ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনায় সুজাউদ্দিনের স্ত্রীর বক্তব্য, গ্রামে বোমাবাজির পর তাঁর বাড়িতে সর্বক্ষণের পুলিশি পাহারা রয়েছে। তারপরও কীভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে তার জবাব পুলিশই দিতে পারবে।
সুজাউদ্দিনের স্ত্রী সোনালি বেগমের বক্তব্য, তিনি ঘরে শুয়েছিলেন। সেইসময় তাঁর দরজায় ধাক্কা দেয় পুলিশ। দরজা খুলতে বলে। সোনালি বেগমের কথায়, “দরজা খুলতেই ওরা লেবু গাছের ওদিকে গেল। ওখান থেকে একটা ব্যাগ বের করে আনে। অথচ আমি কালকেও ওই গাছে জল দিয়েছি। ওদিকটায় আমাদের বাড়ির সব নোংরা ফেলা হয়। আমার ঘরে যে মেয়েটা কাজ করে, সে ওখানে নোংরা ফেলে। পুলিশ ওখানে গিয়ে ব্যাগটা দেখিয়ে আমার কাছে জানতে চাইছে, এটা কী? আমি বললাম, কী করে জানব। আমি তো গতকালও জল দিয়েছি ওখানে। আর বাড়িতে আমি একা মেয়ে। কী করে কী পাচ্ছে, আমি জানি না। পুলিশ এখন ওই জায়গাটা ঘিরে রেখেছে। খালি একটা ব্যাগই দেখলাম ওখানে রাখা। আমার একটাই প্রশ্ন, আমি তো পুলিশের হেফাজতেই আছি। তারপরও কী করে এরকম ঘটনা ঘটল?”
মাড়গ্রামে বোমাবাজিতে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই সুজাউদ্দিন শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে মাড়গ্রামে বোমাবাজির ঘটনার পর থেকেই এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। সূত্রের খবর, এদিন টহল দেওয়ার সময়ই সুজাউদ্দিনের বাড়ির বাগানে তিনটি ব্যাগের খোঁজ পায় পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে সেই ব্যাগ খুলতেই নজরে আসে বোমা। কীভাবে এই বোমা সুজাউদ্দিনের বাড়ির বাগানের এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বোমা আগে থেকে মজুত করা ছিল নাকি সম্প্রতি তা রাখা হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি বীরভূমের মাড়গ্রামে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই-সহ দু’জন মারা যান। অভিযোগের আঙুল ওঠে সুজাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। কে এই সুজাউদ্দিন, সে প্রসঙ্গে এলাকার লোকজনই জানান, ২০১৩ সাল থেকে রাজনীতির অলিন্দে ঘোরাফেরা তাঁর। কখনও তৃণমূল, কখনও কংগ্রেস, কখনও বিজেপি করেছেন তিনি।