
বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর বীরভূমের রাজনীতিতে আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন কাজল শেখ। কেষ্টর তিহাড় যাত্রা আবারও নানুরের কাজলকে তুলে আনে প্রচারের আলোয়। সেই কাজল এবার বীরভূম জেলা পরিষদের প্রার্থী হন। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে দাপুটে জয় হয়েছে তাঁর। ৪৪ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন কাজল শেখ।
নানুরে একটা সময় কাজল শেখের দাপট সর্বজনবিদিত ছিল। অনুব্রত মণ্ডলের সমতুল ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন কাজলও। এমনও বলা হতো, নানুরের মতো এলাকায় কাজলের প্রতাপে বাঘে-গরুতে নাকি এক ঘাটে জল খেত। তবে জেলাজুড়ে কেষ্ট মণ্ডলের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে দলের অন্দরে। অনুব্রত যত প্রভাবশালী হতে শুরু করেন, কাজলের ভূমিকাও ততই আবছা হতে শুরু করে দলে।
নিন্দুকেরা এমনও বলেন, এই কাজলকে দমাতে নানুরের আরেক নেতা গদাধর হাজরাকে দলে সামনের সারিতে তুলে আনতে মরিয়া হয়ে ওঠেন কেষ্ট মণ্ডল। যদিও সেসব এখন অতীত। বীরভূমের ‘বীর’ অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় জেলে যাওয়ার পরই ময়দানে স্বমহিমায় দেখা গিয়েছে কাজল শেখকে। দলও তাঁকে আলাদা গুরুত্ব দিয়েছে। জেলায় সংগঠনের কোর কমিটিতে তুলে আনা হয়েছে বীরভূমের রাজনীতি অনুব্রত-বিরোধী ‘লবি’র এই নেতাকে।
এদিন কাজল শেখ বলেন, “খুবই ভাল লাগছে। এই জয় মা মাটি মানুষের জয়। যারা আমার সহযোদ্ধা, সহকর্মী তাদের সবাইকে একটা কথাই বলতে চাই, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা লড়াই করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নযজ্ঞকে সামনে রেখেই ১৯ নম্বর আসনে ৪৪ হাজার ৪৩৬ ভোটে আমাকে মানুষ জয়ী করেছেন।” একইসঙ্গে কাজল বলেন, “খেলা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন করেছেন তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার খেলা হবে।”
পঞ্চায়েত ভোটের সমস্ত খবরের LIVE UPDATE পেতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে